পরস্পরের প্রতি সহযোগিতা (altruism) ব্যাখ্যা করতে পারবে।বিভিন্ন উদ্দীপনায় সাড়া দেওয়ার প্রেক্ষিতে যে কোনো আচরণগত সাড়ার ব্যাপ্তি ও প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটে। নির্দিষ্ট প্রাণীতে সব সময় একই উদ্দীপনা একই সাড়া ফেলতে পারে না। শুধু পারিপার্শ্বিক অবস্থাই নয়, সাড়া দানে পার্থক্যের বিষয়টি বহিঃস্থ বা অন্তঃস্থ উদ্দীপনার কারণেও ঘটে থাকতে পারে। একটি ক্ষুধার্ত প্রাণীর সামনে প্লেটভর্তি খাবার যে প্রেরণার সৃষ্টি করবে তা ভরপেট প্রাণীতে করবে না।
একটি প্রাণী যদি একদিকে প্রচন্ড ক্ষুধার্ত থাকে, অন্যদিকে শিকারী প্রাণীর ধাওয়ায় দৌড়ের উপরে থাকে আর তখন যদি লোভনীয় খাবার ওই প্রাণীর মুখের সামনে বাড়িয়ে দেওয়া হয় তখন তার আচরণ হবে ভিন্ন। বিপদ না যাওয়া পর্যন্ত পলায়নপর প্রাণী কিছুই খাবে না। এভাবে, কোনো আচরণগত সাড়ার ব্যাপ্তি ও প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটার পেছনে বিভিন্ন উদ্দীপনার সম্মিলন কাজ করে। বিভিন্ন উদ্দীপনার এ সম্মিলন মোটিভেশন (motivation) বা প্রেরণা নামে পরিচিত।
কিছু প্রাণীর জননগত আচরণে মোটিভেশন উপাদান জড়িত থাকে। যেমন- অনেক প্রজাতির স্ত্রী সদস্য বছরের নির্দিষ্ট সময় ছাড়া অন্য সময়ে জননে অংশ নেয় না। এ সময়কালটি প্রাণিদেহে রজঃচক্রের (এস্ট্রাস চক্র) সঙ্গে জড়িত থাকে । তখন নিষেক, গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদান ঐ প্রাণীর জন্য নিরাপদ ও অনুকূল । এ আচরণগত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে জৈবনিক ছন্দ (biological rhythms)। অনেক প্রজাতির স্ত্রী ও পুরুষ সদস্যে
(বা মোটিভেশন) মিলে যায় অন্যান্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাত্রার মোটিভেশন প্রয়োজন হয়। প্রাইমেট জাতীয় অনেক স্ত্রী সদস্যে যৌনাঙ্গের রং ও স্ফীতি এস্ট্রাস চক্রকে প্রকাশ করে। পুরুষ সদস্য তাতে আকৃষ্ট হয়ে জনন সম্পন্ন করে। আচরণগত পরিবর্তনে সহায়ক এ ধরনের সংকেতকে সাংকেতিক উদ্দীপনা (sign stimuli) নামে অভিহিত করা হয়। উৎপত্তি বা কাজের ভিত্তিতে সাংকেতিক উদ্দীপনা তিন রকম ঃ মোটিভেশনাল, রিলিজিং এবং টার্মিনেটিং উদ্দীপনা।