বাংলায় আজ পর্যন্ত যেসব প্রাচীন নিদর্শন। পাওয়া গেছে তার মধ্যে ওয়ারী বটেশ্বর উল্লেখযোগ্য। ওয়ারী বটেশ্বর আবিষ্কারের পর বাংলার ইতিহাস রচনার চিত্র অনেকটা পাল্টে গেছে। ইতিহাসকে করেছে সমৃদ্ধ বাংলার ইতিহাস জানার উৎস হয়েছে আরো গ্রহণযোগ্য।
ওয়ারী বটেশ্বরের প্রাচীনত্ব : ওয়ারী বটেশ্বর প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান। ওয়ারী বটেশ্বরের প্রাচিনত্ব সম্পর্কে যে ধারণা পাওয়া যায় নিম্নে তা আলোচনা করা হলো :
আবিষ্কার : বাংলায় প্রাচীন ও সর্বশেষ আবিষ্কৃত প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন হল ওয়ারী বটেশ্বর। এটি নরসিংদী জেলায় অবস্থিত। নরসিংদী জেলার এক স্কুল শিক্ষক হানিফ পাঠান ১৯৩৩ সালে বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ওয়ারী বটেশ্বর আবিষ্কার করেন। স্কুল শিক্ষক হানিফ পাঠান ওয়ারী বটেশ্বর আবিষ্কারের পর গ্রামীণ ফোনের সহায়তায় জাহাঙ্গিরনগর প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ এটি খনন কাজ শুরু করে এবং এভাবেই আবিষ্কৃত হয় ওয়ারী বটেশ্বর নামের প্রাচিনতম নিদর্শন।
প্রাচিনত্ব : ওয়ারী বটেশ্বর যে প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নির্দ্বিধায় একথা বলা যায়। এরকম প্রাচীন নিদর্শন আর নেই। এখানে পাওয়া যায় প্লাইস্টোসিন যুগের নিদর্শন। সুপ্রাচীনকালীন ভিন্ন প্রত্ন বস্তু, হাঁড়ি, মাটির পাতিল, মূর্তি, লৌহ এসব পাওয়া যায়। সে সময় মানুষের মধ্যে একটা আধুনিকতার ভাব ছিল। কারণ মেয়েরা অলংকার দ্বারা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করত। সে সময় ভিন্ন| কৃষিপণ্য উৎপাদিত হত। এখানকার নগর, বাগান, ব্যবহার্যর জিনিসপত্রের সাথে অন্যান্য জিনিসপত্রের সাথে মিল ছিল। এসব দিক লক্ষ্য করলে বুঝা যায় ওয়ারী বটেশ্বরের প্রাচিনত্ব।
পরিশেষে বলা যায় যে, ওয়ারী বটেশ্বর পৃথিবীর ইতিহাসে এক অনন্য স্থান দখল করে আছে। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের দিক থেকে। এ প্রত্নতাত্ত্বিক অঞ্চল খ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে তার প্রাচিনত্ব প্রমাণ করেছে।