বাংলাদেশে খুব সহজে এবং দ্রুত রান্না করা যায় এমন কিছু সুস্বাদু খাবারের নামের তালিকা এবং সেগুলোর রান্নার প্রক্রিয়া নিচে দেওয়া হলো
ডিম ভাজি(fried eggs)-ডিম ভাজি রেসিপি -ডিম ভাজি করার নিয়ম
রাইস কুকারে ডিম ভাজি
উপকরণ:
- ডিম: ৩-৪টি
- পেঁয়াজ: ১টি (কুচি করে কাটা)
- কাঁচা মরিচ: ২-৩টি (কুচি করে কাটা)
- টমেটো: ১টি (ঐচ্ছিক, কুচি করে কাটা)
- লবণ: স্বাদ অনুযায়ী
- তেল: ২ টেবিল চামচ
- ধনে পাতা: সামান্য (কুচি করে কাটা, সাজানোর জন্য)
প্রণালী:
- প্রথমে একটি বাটিতে ডিম ফাটিয়ে নিন এবং ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন।
- একটি ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করুন।
- তেলে পেঁয়াজ এবং কাঁচা মরিচ যোগ করে হালকা বাদামী রঙ হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- ঐচ্ছিকভাবে টমেটো যোগ করুন এবং নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- ফেটানো ডিম ফ্রাইপ্যানে ঢেলে দিন এবং লবণ যোগ করুন।
- ডিম সম্পূর্ণ রান্না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
- ধনে পাতা ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
তেল ছাড়া ডিম ভাজি
তেল ছাড়া ডিম ভাজি করা সম্ভব এবং এটি স্বাস্থ্যকরও হতে পারে। নন-স্টিক প্যান ব্যবহার করলে আপনি তেল ছাড়া ডিম ভাজি করতে পারবেন। এখানে তেল ছাড়া ডিম ভাজির রেসিপি দেওয়া হলো:
তেল ছাড়া ডিম ভাজি
উপকরণ:
- ডিম: ২-৩টি
- পেঁয়াজ: ১টি (কুচি করে কাটা)
- কাঁচা মরিচ: ২টি (কুচি করে কাটা)
- টমেটো: ১টি (ঐচ্ছিক, কুচি করে কাটা)
- লবণ: স্বাদ অনুযায়ী
- ধনে পাতা: সামান্য (কুচি করে কাটা, সাজানোর জন্য)
- পানি: ২-৩ টেবিল চামচ
প্রণালী:
- প্রথমে একটি বাটিতে ডিম ফাটিয়ে নিন এবং ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন।
- একটি নন-স্টিক প্যানে ২-৩ টেবিল চামচ পানি গরম করুন।
- পানিতে পেঁয়াজ এবং কাঁচা মরিচ যোগ করে হালকা নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- ঐচ্ছিকভাবে টমেটো যোগ করুন এবং নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- ফেটানো ডিম প্যানে ঢেলে দিন এবং লবণ যোগ করুন।
- ডিম সম্পূর্ণ রান্না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
- ধনে পাতা ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
এই রেসিপিটি অনুসরণ করে আপনি তেল ছাড়া সুস্বাদু ডিম ভাজি তৈরি করতে পারবেন।
মাছের ডিম ভাজি রেসিপি-মাছের ডিম ভাজি
মাছের ডিম ভাজি একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার। এটি তৈরি করা বেশ সহজ। নিচে মাছের ডিম ভাজির একটি সহজ রেসিপি দেওয়া হলো:
মাছের ডিম ভাজি
উপকরণ:
- মাছের ডিম: ২৫০ গ্রাম
- পেঁয়াজ: ১টি (কুচি করে কাটা)
- কাঁচা মরিচ: ২-৩টি (কুচি করে কাটা)
- রসুন বাটা: ১ চা চামচ
- আদা বাটা: ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া: ১/২ চা চামচ
- মরিচ গুঁড়া: ১/২ চা চামচ
- ধনে গুঁড়া: ১ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া: ১/২ চা চামচ
- লবণ: স্বাদ অনুযায়ী
- তেল: ৩-৪ টেবিল চামচ
- ধনে পাতা: সামান্য (কুচি করে কাটা, সাজানোর জন্য)
প্রণালী:
- প্রথমে মাছের ডিম পরিষ্কার করে নিন এবং ভালো করে ধুয়ে নিন। পানি ঝরিয়ে রাখুন।
- একটি প্যানে তেল গরম করুন।
- তেলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- পেঁয়াজ ভাজা হলে তাতে রসুন বাটা, আদা বাটা এবং কাঁচা মরিচ কুচি যোগ করুন। ভালোভাবে নাড়তে থাকুন।
- মসলাগুলো ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে তাতে মাছের ডিম যোগ করুন। ডিমগুলো হালকা করে ভাজুন যাতে করে সব মসলার সাথে মিশে যায়।
- এবার হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন।
- মাছের ডিম ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে, তাতে ধনে পাতা ছিটিয়ে দিন।
- আরও কিছুক্ষণ ভাজুন যতক্ষণ না মাছের ডিম পুরোপুরি রান্না হয়ে যায়।
- গরম গরম মাছের ডিম ভাজি পরিবেশন করুন।
এই রেসিপি অনুসরণ করে আপনি সহজেই সুস্বাদু মাছের ডিম ভাজি তৈরি করতে পারবেন।
ডিম ভাজি উপকারিতা-fried eggs healthy
ডিম ভাজি একটি জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর খাবার। এর বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। ডিম এবং বিভিন্ন সবজি দিয়ে তৈরি হওয়ায় এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। ডিম ভাজির কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উপকারিতা নিচে দেওয়া হলো:
ডিম ভাজির উপকারিতা
১. প্রোটিনের উৎস
ডিম উচ্চমানের প্রোটিন সরবরাহ করে যা শরীরের কোষ গঠন, মাংসপেশীর বৃদ্ধি এবং মেরামতে সহায়তা করে। প্রোটিন শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজেও সাহায্য করে।
২. ভিটামিন ও মিনারেল
ডিমে ভিটামিন এ, বি২ (রিবোফ্লাভিন), বি১২, ডি এবং ই সহ নানা প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। এই পুষ্টিগুলি দৃষ্টিশক্তি, স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা, রক্তের লাল কণিকা উৎপাদন এবং হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক।
৩. চুল এবং ত্বকের যত্ন
ডিমের মধ্যে থাকা বায়োটিন এবং অন্যান্য ভিটামিন চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে।
৪. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা
ডিমে চোলিন নামক একটি উপাদান থাকে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, স্মৃতিশক্তি এবং মানসিক উন্নতিতে সহায়ক।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণ
ডিম ভাজি কম ক্যালোরির পাশাপাশি বেশি প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি খাবারের পরে তৃপ্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা কমায়, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৬. শক্তি প্রদান
ডিম ভাজি শক্তির একটি ভালো উৎস। এটি আপনাকে সারাদিনের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি প্রদান করে।
৭. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
ডিমের মধ্যে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (HDL) রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৮. সবজির উপকারিতা
যদি ডিম ভাজিতে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, টমেটো এবং অন্যান্য সবজি ব্যবহার করা হয়, তবে এটি আরও বেশি ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার সরবরাহ করে। সবজি হজমে সহায়তা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ডিম ভাজি একটি সহজ এবং পুষ্টিকর খাবার যা আপনাকে দৈনিক পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে সহায়তা করে। তবে অতিরিক্ত তেল বা মশলা ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয় যাতে এটি আরও স্বাস্থ্যকর থাকে।
ডিম ভাজিতে কত ক্যালরি-ডিম ভাজি ক্যালরি
ডিম ভাজির ক্যালোরির পরিমাণ বিভিন্ন উপকরণের পরিমাণ এবং প্রস্তুত প্রণালীর উপর নির্ভর করে। সাধারণত একটি ডিম ভাজির ক্যালোরি প্রধানত ডিম, তেল এবং অন্যান্য উপকরণের উপর নির্ভর করে।
নিচে সাধারণ একটি ডিম ভাজির ক্যালোরি হিসাব দেওয়া হলো:
2 fried eggs calories
উপকরণ:
- ডিম: ২টি
- তেল: ২ টেবিল চামচ
- পেঁয়াজ: ১টি (কুচি করে কাটা)
- কাঁচা মরিচ: ২টি (কুচি করে কাটা)
- টমেটো: ১টি (ঐচ্ছিক, কুচি করে কাটা)
- লবণ: স্বাদ অনুযায়ী
- ধনে পাতা: সামান্য (কুচি করে কাটা, সাজানোর জন্য)
ক্যালোরি বিশ্লেষণ:
- ডিম (২টি): প্রতি ডিমে সাধারণত ৭০-৮০ ক্যালরি থাকে। সেক্ষেত্রে ২টি ডিমে প্রায় ১৪০-১৬০ ক্যালরি।
- তেল (২ টেবিল চামচ): প্রতি টেবিল চামচ তেলে প্রায় ১২০ ক্যালরি থাকে। সেক্ষেত্রে ২ টেবিল চামচ তেলে প্রায় ২৪০ ক্যালরি।
- পেঁয়াজ (১টি): একটি মাঝারি পেঁয়াজে প্রায় ৪০-৫০ ক্যালরি থাকে।
- কাঁচা মরিচ এবং টমেটো: কাঁচা মরিচ এবং টমেটো সাধারণত খুব কম ক্যালরি যুক্ত (প্রতিটি ৫-১০ ক্যালরি)।
মোট ক্যালোরি:
- ডিম: ১৪০-১৬০ ক্যালরি
- তেল: ২৪০ ক্যালরি
- পেঁয়াজ: ৪০-৫০ ক্যালরি
- অন্যান্য: ১০-২০ ক্যালরি (কাঁচা মরিচ, টমেটো এবং ধনে পাতা)
সাধারণত, একটি সাধারণ ডিম ভাজিতে প্রায় ৪৩০-৪৭০ ক্যালরি থাকে।
এটি একটি সাধারণ অনুমান, নির্দিষ্ট ক্যালোরি পরিমাণ উপকরণের পরিবর্তনের সাথে সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে। তেল কম ব্যবহার করলে ক্যালোরি কম হবে এবং আরও স্বাস্থ্যকর হবে।
ডিম ভাজি ইংরেজি
ডিম ভাজি ইংরেজি হলো Egg Fry
আলু ভর্তা(potato filling) বা আলুভর্তা-আলু ভর্তা রেসিপি
আলু ভর্তা(potato filling) করার নিয়ম-আলু ভর্তা করা
উপকরণ:
- আলু: ৪-৫টি (মাঝারি আকারের, সেদ্ধ)
- পেঁয়াজ: ১টি (কুচি করে কাটা)
- কাঁচা মরিচ: ২-৩টি (কুচি করে কাটা)
- সরিষার তেল: ২ টেবিল চামচ
- লবণ: স্বাদ অনুযায়ী
- ধনে পাতা: সামান্য (কুচি করে কাটা, ঐচ্ছিক)
প্রণালী:
- সেদ্ধ আলুগুলো খোসা ছাড়িয়ে ভালোভাবে চটকে নিন।
- চটকানো আলুর মধ্যে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, এবং লবণ মিশিয়ে নিন।
- সরিষার তেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
- ধনে পাতা যোগ করে পরিবেশন করুন।
আলু ভর্তা খাওয়ার উপকারিতা
আলু ভর্তা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় খাবার, যা সেদ্ধ আলু এবং বিভিন্ন মশলা মিশিয়ে তৈরি করা হয়। এটি শুধু সুস্বাদু নয়, পুষ্টিকরও বটে। নিচে আলু ভর্তার কিছু উপকারিতা উল্লেখ করা হলো:
আলু ভর্তার উপকারিতা
১. পুষ্টিকর
আলু ভর্তা প্রধানত আলু দিয়ে তৈরি, যা কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এই পুষ্টিগুলো শরীরের বিভিন্ন কার্যকলাপে সহায়ক।
২. শক্তি বৃদ্ধি
আলুতে উচ্চমানের কার্বোহাইড্রেট থাকে যা শরীরকে দ্রুত শক্তি প্রদান করে। এটি একটি আদর্শ খাবার যা কাজের সময় বা ব্যায়ামের আগে শক্তি সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
৩. হজমে সহায়ক
আলু ভর্তায় থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়ক। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজমজনিত অন্যান্য সমস্যাগুলি কমাতে সহায়তা করে।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
আলুতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
৫. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত
আলুতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৬. ত্বকের যত্ন
আলুতে থাকা ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের যত্নে সহায়ক। এটি ত্বককে উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
৭. সহজ এবং দ্রুত প্রস্তুত
আলু ভর্তা সহজেই এবং দ্রুত প্রস্তুত করা যায়। এটি কম সময়ে একটি পুষ্টিকর খাবার তৈরি করতে সহায়ক।
৮. ওজন নিয়ন্ত্রণ
আলু ভর্তা উচ্চ ক্যালোরি এবং ফ্যাটের পরিমাণ কম হওয়ার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। তবে মশলা ও তেল কম ব্যবহার করে প্রস্তুত করলে এটি আরও স্বাস্থ্যকর হবে।
আলু ভর্তা শুধুমাত্র একটি সুস্বাদু খাবার নয়, এটি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এটি শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যের উপকারিতা প্রদান করে। সঠিকভাবে প্রস্তুত এবং সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করলে এটি একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হতে পারে।
আলু ভর্তা ক্যালরি
আলু ভর্তার ক্যালোরির পরিমাণ নির্ভর করে এতে ব্যবহৃত উপকরণের পরিমাণ এবং প্রস্তুত প্রণালীর উপর। এখানে সাধারণ একটি আলু ভর্তার ক্যালোরির পরিমাণ দেওয়া হলো:
উপকরণ এবং ক্যালোরি বিশ্লেষণ:
- আলু (মাঝারি আকারের, ২টি): ১৬০-১৭০ ক্যালোরি (প্রতি আলুতে প্রায় ৮০-৮৫ ক্যালোরি)
- পেঁয়াজ (১টি, ছোট): ৩০-৪০ ক্যালোরি
- কাঁচা মরিচ (২-৩টি): ৫-১০ ক্যালোরি
- সরিষার তেল (১ টেবিল চামচ): প্রায় ১২০ ক্যালোরি
- লবণ: নগণ্য ক্যালোরি
- ধনে পাতা (কুচি করে কাটা, সাজানোর জন্য): ২-৫ ক্যালোরি
মোট ক্যালোরি:
- আলু: ১৬০-১৭০ ক্যালোরি
- পেঁয়াজ: ৩০-৪০ ক্যালোরি
- কাঁচা মরিচ: ৫-১০ ক্যালোরি
- সরিষার তেল: ১২০ ক্যালোরি
- ধনে পাতা: ২-৫ ক্যালোরি
আনুমানিক মোট ক্যালোরি:
- মোট: ৩১৭-৩৪৫ ক্যালোরি
একটি সাধারণ আলু ভর্তা তৈরিতে প্রায় ৩১৭-৩৪৫ ক্যালোরি থাকে। ক্যালোরির পরিমাণ তেলের ব্যবহার এবং অন্যান্য উপকরণের উপর নির্ভর করে সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে। তেল কম ব্যবহার করলে ক্যালোরি কম হবে এবং এটি আরও স্বাস্থ্যকর হবে।
আলু ভর্তা english meaning-আলু ভর্তা ইংরেজি কি-আলুভর্তা ইংরেজি
“আলু ভর্তা” এর ইংরেজি অনুবাদ হলো “Mashed Potatoes”।
চিংড়ি ভুনা-চিংড়ি ভুনা রেসিপি-গলদা চিংড়ি ভুনা
সুস্বাদু চিংড়ি ভুনা করার নিয়ম বিস্তারিত ভাবে এখানে দেওয়া হলো
উপকরণ:
- চিংড়ি: ৫০০ গ্রাম (পরিষ্কার করে ধুয়ে নেওয়া)
- পেঁয়াজ: ২টি (কুচি করে কাটা)
- কাঁচা মরিচ: ৪-৫টি (কাটা)
- রসুন বাটা: ১ চা চামচ
- আদা বাটা: ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া: ১/২ চা চামচ
- লবণ: স্বাদ অনুযায়ী
- তেল: ৪ টেবিল চামচ
- ধনে পাতা: সামান্য (কুচি করে কাটা)
প্রণালী:
- চিংড়ি পরিষ্কার করে ধুয়ে লবণ ও হলুদ গুঁড়া মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
- একটি প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, রসুন বাটা, এবং আদা বাটা যোগ করে ভাজুন।
- পেঁয়াজ হালকা বাদামী হলে চিংড়ি যোগ করুন এবং নাড়তে থাকুন।
- চিংড়ি ভালোভাবে ভুনা হয়ে গেলে ধনে পাতা ছিটিয়ে নামিয়ে নিন।
- গরম গরম পরিবেশন করুন।
খিচুড়ি-খিচুড়ি রান্নার রেসিপি-khichuri recipe
খিচুড়ি রান্না-ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি -ghoroa khichuri
সুস্বাদু খিচুড়ি রান্নার রেসিপি করার নিয়ম বিস্তারিত ভাবে এখানে দেওয়া হলো
খিচুড়ি রান্নার উপকরণ
উপকরণ:
- চাল: ১ কাপ
- মুগ ডাল: ১/২ কাপ
- পেঁয়াজ: ১টি (কুচি করে কাটা)
- কাঁচা মরিচ: ২-৩টি (কাটা)
- আদা বাটা: ১ চা চামচ
- রসুন বাটা: ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া: ১/২ চা চামচ
- লবণ: স্বাদ অনুযায়ী
- তেল: ২ টেবিল চামচ
- ঘি: ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
- পানি: ৩ কাপ
- ধনে পাতা: সামান্য (কুচি করে কাটা)
প্রণালী:
- চাল ও মুগ ডাল ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
- একটি পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, আদা বাটা, এবং রসুন বাটা যোগ করে ভাজুন।
- পেঁয়াজ হালকা বাদামী হলে চাল ও ডাল যোগ করুন এবং কয়েক মিনিট ভাজুন।
- হলুদ গুঁড়া ও লবণ যোগ করুন।
- পানি যোগ করে ঢেকে রান্না করুন যতক্ষণ না চাল ও ডাল সেদ্ধ হয়।
- নামানোর আগে ঘি ও ধনে পাতা যোগ করুন।
- গরম গরম পরিবেশন করুন।
ভুনা খিচুড়ি(vuna khichuri)-ভুনা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি -ভুনা খিচুড়ি রেসিপি
ঝরঝরে খিচুড়ি রান্নার রেসিপি-bhuna khichuri
ভুনা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি নিচে দেওয়া হলো। এটি সহজ এবং সুস্বাদু একটি খাবার যা বাংলাদেশী খাবারের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়।
ভুনা খিচুড়ি রেসিপি উপকরণ
উপকরণ:
- চাল (বাসমতি বা গোবিন্দভোগ): ১ কাপ
- মুসুর ডাল: ১/২ কাপ
- সরিষার তেল: ২ টেবিল চামচ
- পেঁয়াজ (বারিস্টা করা): ১ টি
- আদা-রসুন বাটা: ১ চা চামচ
- লঙ্কা গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
- জিরা গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়ো: ১/৪ চা চামচ
- গরম মসলা গুঁড়ো: ১/৪ চা চামচ
- নুন: স্বাদমতো
- পানি: ২ কাপ
- ধনেপাতা (কুচি করে): সাজানোর জন্য
প্রণালী:
- চাল ও মুসুর ডাল ধুয়ে ভালোভাবে পরিমাপ করে নামান।
- একটি পাত্রে পানি দিয়ে চাল ও ডাল সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ হয়ে গেলে তাদের ছেঁকে নিন।
- একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করে তাতে বারিস্টা করা পেঁয়াজ দিয়ে দিন। এরপরে আদা-রসুন বাটা, লঙ্কা গুঁড়ো (যদি ব্যবহার করে থাকেন), জিরা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো এবং গরম মসলা গুঁড়ো দিয়ে দিন। ভালোভাবে মিশান।
- মসলা কম হয়ে এলে তাতে সেদ্ধ করা চাল ও ডাল দিয়ে দিন। ভালোভাবে মসলা ও চাল-ডাল মিশিয়ে নিন।
- পানি দিয়ে ভুনা খিচুড়ির মতো মিশ্রন দিন। মাঝারি আচে ঢেকে রাখুন এবং হালকা আচে দম দিন।
- ঢাকা খোলে খিচুড়ি পরিবেশন করুন এবং উপরে ধনেপাতা ছড়িয়ে দিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।
ভুনা খিচুড়ি একটি সহজ এবং পুষ্টিকর পদার্থ, যা দম দিয়ে সেবন করা হয় এবং এটি বাংলাদেশী রস্ময় খাবারের একটি জনপ্রিয় অংশ।
সবজি খিচুড়ি রান্নার রেসিপি-সবজি খিচুড়ি -patla khichuri
সবজি খিচুড়ি একটি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাবার। এখানে একটি সহজ রেসিপি দেওয়া হলো:
উপকরণ:
- বাসমতি চাল: ১ কাপ
- মসুর ডাল: ১/২ কাপ
- পেঁয়াজ: ১টি (মিহি কাটা)
- রসুন: ৩-৪ কোয়া (মিহি কাটা)
- আদা: ১ চা চামচ (মিহি কাটা)
- টমেটো: ১টি (মিহি কাটা)
- আলু: ১টি (কিউব করে কাটা)
- গাজর: ১টি (কিউব করে কাটা)
- মটরশুঁটি: ১/২ কাপ
- ফুলকপি: ১ কাপ (ফুলগুলো ছোট ছোট করে কাটা)
- কাঁচা লঙ্কা: ২-৩টি (চিরে নিন)
- তেজপাতা: ২টি
- এলাচ: ২-৩টি
- দারুচিনি: ১ ইঞ্চি টুকরা
- লবঙ্গ: ৩-৪টি
- হলুদ গুঁড়া: ১/২ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া: ১/২ চা চামচ
- ধনে গুঁড়া: ১/২ চা চামচ
- গরম মসলা গুঁড়া: ১/২ চা চামচ
- তেল/ঘি: ২ টেবিল চামচ
- লবণ: স্বাদ অনুযায়ী
- পানি: প্রয়োজন অনুযায়ী
- ধনেপাতা: সাজানোর জন্য
প্রস্তুত প্রণালী:
- চাল ও ডাল ধোয়া: চাল এবং ডাল ভালো করে ধুয়ে ১৫-২০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
- সবজি প্রস্তুত করা: সবজি কেটে ধুয়ে নিন।
- মসলা ভাজা: একটি বড় হাঁড়িতে তেল বা ঘি গরম করুন। তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি এবং লবঙ্গ দিন। একটু ভাজুন। পেঁয়াজ দিয়ে দিন এবং সোনালী রঙ হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- রসুন ও আদা যোগ করা: মিহি কাটা রসুন এবং আদা দিয়ে দিন এবং কাঁচা গন্ধ না যাওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- টমেটো ও মসলা যোগ করা: কাটা টমেটো, হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, এবং কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিন। টমেটো নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- সবজি যোগ করা: কাটা সবজি (আলু, গাজর, মটরশুঁটি, ফুলকপি) দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং ৫-৬ মিনিট ভাজুন।
- চাল ও ডাল যোগ করা: ভিজিয়ে রাখা চাল এবং ডাল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ২-৩ মিনিট ভাজুন।
- পানি যোগ করা: সব উপকরণের সাথে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি যোগ করুন। পানি চালের দ্বিগুণ পরিমাণ হওয়া উচিত। লবণ দিন এবং মিশিয়ে নিন।
- সেদ্ধ করা: ঢাকনা দিয়ে ঢাকা দিন এবং মাঝারি আঁচে রান্না করুন। সবজি এবং চাল সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন যাতে তলায় লেগে না যায়।
- গরম মসলা ও ধনেপাতা: খিচুড়ি সেদ্ধ হয়ে গেলে গরম মসলা গুঁড়া এবং ধনেপাতা ছিটিয়ে দিন। আরও ২ মিনিট রান্না করুন।
- পরিবেশন: খিচুড়ি পরিবেশন করুন এবং পাশে কিছু আচার ও পাপড় রাখুন।
এই রেসিপি অনুসরণ করে আপনি সহজেই সুস্বাদু সবজি খিচুড়ি তৈরি করতে পারবেন।
মসুর ডালের খিচুড়ি রান্নার রেসিপি-পাতলা খিচুড়ি রেসিপি
উপকরণ:
- বাসমতি চাল: ১ কাপ
- মসুর ডাল: ১/২ কাপ
- পেঁয়াজ: ১টি (মিহি কাটা)
- রসুন: ৩-৪ কোয়া (মিহি কাটা)
- আদা: ১ চা চামচ (মিহি কাটা)
- টমেটো: ১টি (মিহি কাটা)
- কাঁচা লঙ্কা: ২-৩টি (চিরে নিন)
- তেজপাতা: ২টি
- এলাচ: ২-৩টি
- দারুচিনি: ১ ইঞ্চি টুকরা
- লবঙ্গ: ৩-৪টি
- হলুদ গুঁড়া: ১/২ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া: ১/২ চা চামচ
- ধনে গুঁড়া: ১/২ চা চামচ
- গরম মসলা গুঁড়া: ১/২ চা চামচ
- তেল/ঘি: ২ টেবিল চামচ
- লবণ: স্বাদ অনুযায়ী
- পানি: প্রয়োজন অনুযায়ী
- ধনেপাতা: সাজানোর জন্য
প্রস্তুত প্রণালী:
- চাল ও ডাল ধোয়া:
- চাল এবং ডাল ভালো করে ধুয়ে ১৫-২০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
- মসলা ভাজা:
- একটি বড় হাঁড়িতে তেল বা ঘি গরম করুন। তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি এবং লবঙ্গ দিন। একটু ভাজুন।
- পেঁয়াজ দিয়ে দিন এবং সোনালী রঙ হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- রসুন ও আদা যোগ করা:
- মিহি কাটা রসুন এবং আদা দিয়ে দিন এবং কাঁচা গন্ধ না যাওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- টমেটো ও মসলা যোগ করা:
- কাটা টমেটো, হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, এবং কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিন। টমেটো নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- চাল ও ডাল যোগ করা:
- ভিজিয়ে রাখা চাল এবং ডাল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ২-৩ মিনিট ভাজুন।
- পানি যোগ করা:
- সব উপকরণের সাথে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি যোগ করুন। পানি চালের দ্বিগুণ পরিমাণ হওয়া উচিত। লবণ দিন এবং মিশিয়ে নিন।
- সেদ্ধ করা:
- ঢাকনা দিয়ে ঢাকা দিন এবং মাঝারি আঁচে রান্না করুন। চাল এবং ডাল সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন যাতে তলায় লেগে না যায়।
- গরম মসলা ও ধনেপাতা:
- খিচুড়ি সেদ্ধ হয়ে গেলে গরম মসলা গুঁড়া এবং ধনেপাতা ছিটিয়ে দিন। আরও ২ মিনিট রান্না করুন।
- পরিবেশন:
- খিচুড়ি পরিবেশন করুন এবং পাশে কিছু আচার ও পাপড় রাখুন।
এই রেসিপি অনুসরণ করে আপনি সহজেই সুস্বাদু মসুর ডালের খিচুড়ি তৈরি করতে পারবেন।
ডিম খিচুড়ি(dim khichuri)
ডিম খিচুড়ি(dim khichuri) একটি সহজ এবং সুস্বাদু খাবার যা দ্রুত তৈরি করা যায়। এখানে একটি সহজ রেসিপি দেওয়া হলো:
উপকরণ:
- বাসমতি চাল: ১ কাপ
- মসুর ডাল: ১/২ কাপ
- ডিম: ৩-৪টি
- পেঁয়াজ: ১টি (মিহি কাটা)
- রসুন: ৩-৪ কোয়া (মিহি কাটা)
- আদা: ১ চা চামচ (মিহি কাটা)
- টমেটো: ১টি (মিহি কাটা)
- কাঁচা লঙ্কা: ২-৩টি (চিরে নিন)
- তেজপাতা: ২টি
- এলাচ: ২-৩টি
- দারুচিনি: ১ ইঞ্চি টুকরা
- লবঙ্গ: ৩-৪টি
- হলুদ গুঁড়া: ১/২ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া: ১/২ চা চামচ
- ধনে গুঁড়া: ১/২ চা চামচ
- গরম মসলা গুঁড়া: ১/২ চা চামচ
- তেল/ঘি: ২ টেবিল চামচ
- লবণ: স্বাদ অনুযায়ী
- পানি: প্রয়োজন অনুযায়ী
- ধনেপাতা: সাজানোর জন্য
প্রস্তুত প্রণালী:
- চাল ও ডাল ধোয়া:
- চাল এবং ডাল ভালো করে ধুয়ে ১৫-২০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
- ডিম রান্না:
- একটি প্যানে সামান্য তেল গরম করুন এবং ডিম ভেঙ্গে দিয়ে হালকা করে ভাজুন। ডিমটি স্ক্র্যাম্বল করে নিন। হয়ে গেলে একটি পাত্রে তুলে রাখুন।
- মসলা ভাজা:
- একটি বড় হাঁড়িতে তেল বা ঘি গরম করুন। তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি এবং লবঙ্গ দিন। একটু ভাজুন।
- পেঁয়াজ দিয়ে দিন এবং সোনালী রঙ হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- রসুন ও আদা যোগ করা:
- মিহি কাটা রসুন এবং আদা দিয়ে দিন এবং কাঁচা গন্ধ না যাওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- টমেটো ও মসলা যোগ করা:
- কাটা টমেটো, হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, এবং কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিন। টমেটো নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- চাল ও ডাল যোগ করা:
- ভিজিয়ে রাখা চাল এবং ডাল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ২-৩ মিনিট ভাজুন।
- পানি যোগ করা:
- সব উপকরণের সাথে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি যোগ করুন। পানি চালের দ্বিগুণ পরিমাণ হওয়া উচিত। লবণ দিন এবং মিশিয়ে নিন।
- ডিম যোগ করা:
- রান্না করা ডিম মিশ্রণে যোগ করুন এবং ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
- সেদ্ধ করা:
- ঢাকনা দিয়ে ঢাকা দিন এবং মাঝারি আঁচে রান্না করুন। চাল এবং ডাল সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন যাতে তলায় লেগে না যায়।
- গরম মসলা ও ধনেপাতা:
- খিচুড়ি সেদ্ধ হয়ে গেলে গরম মসলা গুঁড়া এবং ধনেপাতা ছিটিয়ে দিন। আরও ২ মিনিট রান্না করুন।
- পরিবেশন:
- ডিম খিচুড়ি পরিবেশন করুন এবং পাশে কিছু আচার ও পাপড় রাখুন।
এই রেসিপি অনুসরণ করে আপনি সহজেই সুস্বাদু ডিম খিচুড়ি তৈরি করতে পারবেন।
খিচুড়ি ইংরেজি-খিচুড়ি english meaning
“খিচুড়ি” এর ইংরেজি অনুবাদ “khichdi” হলেও এটি একটি ভারতীয় খাদ্য যা ধান এবং পুল্স থেকে তৈরি হয়। এটি সাধারণত একটি প্রকারের মিশ্রিত ধান এবং ডালের প্রকার।
ফুচকা-ফুচকা বানানোর রেসিপি-ফুচকা রেসিপি
ফুচকা একটি জনপ্রিয় বাংলা স্ট্রিট ফুড। এটি বাড়িতে তৈরি করাও বেশ সহজ। নিচে ফুচকা বানানোর জন্য রেসিপি দেওয়া হলো:
উপকরণ:
ফুচকার জন্য:
- সুজি (সেমোলিনা) – ১ কাপ
- ময়দা – ১ টেবিল চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
- পানি – প্রয়োজন মতো (খামির তৈরি করার জন্য)
- তেল – ডিপ ফ্রাই করার জন্য
পুরের জন্য:
- সেদ্ধ আলু – ২-৩টি (মাঝারি আকারের)
- সেদ্ধ ছোলা বা মটর – ১ কাপ
- পেঁয়াজ কুচি – ১টি (মাঝারি আকারের)
- কাঁচা মরিচ কুচি – ২-৩টি (স্বাদমতো)
- ধনে পাতা কুচি – ১ টেবিল চামচ
- ভাজা জিরার গুঁড়ো – ১ চা চামচ
- লেবুর রস – ১ টেবিল চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
তেঁতুলের পানি (তেতুলের জল) জন্য:
- তেঁতুল – ৫০ গ্রাম
- গুড় বা চিনি – ২ টেবিল চামচ
- ভাজা জিরার গুঁড়ো – ১ চা চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
- গোলমরিচ গুঁড়ো – ১ চা চামচ
- পানি – ২ কাপ
প্রস্তুত প্রণালী:
ফুচকা তৈরি:
- একটি পাত্রে সুজি, ময়দা, ও লবণ মিশিয়ে নিন।
- অল্প অল্প পানি যোগ করে খামির তৈরি করুন। খামিরটি মসৃণ ও নরম হওয়া উচিত।
- খামিরটি ঢেকে ১৫-২০ মিনিটের জন্য বিশ্রাম দিন।
- খামির থেকে ছোট ছোট বল তৈরি করুন এবং খুব পাতলা করে বেলে নিন।
- কড়াইতে তেল গরম করুন এবং ফুচকাগুলোকে ডিপ ফ্রাই করুন যতক্ষণ না সেগুলো ফুলে ওঠে এবং সোনালী বাদামী রং ধারণ করে।
- তেল থেকে তুলে একটি টিস্যু পেপারের উপর রাখুন যাতে অতিরিক্ত তেল ঝরে যায়।
পুর তৈরি:
- সেদ্ধ আলু চটকে নিন।
- সেদ্ধ ছোলা বা মটর, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, ধনে পাতা, ভাজা জিরার গুঁড়ো, লেবুর রস, এবং লবণ মিশিয়ে পুর তৈরি করুন।
তেঁতুলের পানি তৈরি:
- তেঁতুল পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং তারপরে তেঁতুলের রস বের করে নিন।
- তেঁতুলের রসে গুড় বা চিনি, ভাজা জিরার গুঁড়ো, লবণ, এবং গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। ভালোভাবে মিশিয়ে তেঁতুলের পানি তৈরি করুন।
পরিবেশন:
- ফুচকার মধ্যে একটি ছোট গর্ত করুন।
- পুরটি ফুচকার মধ্যে ভরুন।
- তেঁতুলের পানিতে ডুবিয়ে পরিবেশন করুন।
এভাবেই তৈরি হয় মজাদার ফুচকা। আশা করি রেসিপিটি উপভোগ করবেন!
দই ফুচকা
দই ফুচকা একটি বিশেষ ধরণের ফুচকা যা দই এবং বিভিন্ন চাটনি দিয়ে পরিবেশন করা হয়। এটি খুবই সুস্বাদু এবং সহজেই তৈরি করা যায়। নিচে দই ফুচকা বানানোর জন্য রেসিপি দেওয়া হলো:
উপকরণ:
ফুচকার জন্য:
- সুজি (সেমোলিনা) – ১ কাপ
- ময়দা – ১ টেবিল চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
- পানি – প্রয়োজন মতো (খামির তৈরি করার জন্য)
- তেল – ডিপ ফ্রাই করার জন্য
পুরের জন্য:
- সেদ্ধ আলু – ২-৩টি (মাঝারি আকারের)
- সেদ্ধ ছোলা বা মটর – ১ কাপ
- পেঁয়াজ কুচি – ১টি (মাঝারি আকারের)
- কাঁচা মরিচ কুচি – ২-৩টি (স্বাদমতো)
- ধনে পাতা কুচি – ১ টেবিল চামচ
- ভাজা জিরার গুঁড়ো – ১ চা চামচ
- লেবুর রস – ১ টেবিল চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
দইয়ের জন্য:
- টক দই – ২ কাপ (ফেটানো)
- চিনি – ২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
চাটনি:
- তেঁতুলের চাটনি – ১/২ কাপ
- পুদিনার চাটনি – ১/২ কাপ
গার্নিশের জন্য:
- ভুজিয়া (সেভ) – ১/২ কাপ
- ধনে পাতা কুচি – ১ টেবিল চামচ
- লাল লংকার গুঁড়ো – স্বাদমতো
- ভাজা জিরার গুঁড়ো – ১ চা চামচ
- কালো লবণ – স্বাদমতো
প্রস্তুত প্রণালী:
ফুচকা তৈরি:
- একটি পাত্রে সুজি, ময়দা, ও লবণ মিশিয়ে নিন।
- অল্প অল্প পানি যোগ করে খামির তৈরি করুন। খামিরটি মসৃণ ও নরম হওয়া উচিত।
- খামিরটি ঢেকে ১৫-২০ মিনিটের জন্য বিশ্রাম দিন।
- খামির থেকে ছোট ছোট বল তৈরি করুন এবং খুব পাতলা করে বেলে নিন।
- কড়াইতে তেল গরম করুন এবং ফুচকাগুলোকে ডিপ ফ্রাই করুন যতক্ষণ না সেগুলো ফুলে ওঠে এবং সোনালী বাদামী রং ধারণ করে।
- তেল থেকে তুলে একটি টিস্যু পেপারের উপর রাখুন যাতে অতিরিক্ত তেল ঝরে যায়।
পুর তৈরি:
- সেদ্ধ আলু চটকে নিন।
- সেদ্ধ ছোলা বা মটর, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, ধনে পাতা, ভাজা জিরার গুঁড়ো, লেবুর রস, এবং লবণ মিশিয়ে পুর তৈরি করুন।
দই ফুচকা পরিবেশন:
- ফুচকার মধ্যে একটি ছোট গর্ত করুন।
- পুরটি ফুচকার মধ্যে ভরুন।
- ফুচকার উপর ফেটানো টক দই ঢেলে দিন।
- তেঁতুলের চাটনি এবং পুদিনার চাটনি দিয়ে ফুচকাগুলো সাজিয়ে নিন।
- ভুজিয়া, ধনে পাতা, লাল লংকার গুঁড়ো, ভাজা জিরার গুঁড়ো এবং কালো লবণ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
এভাবেই তৈরি হয় মজাদার দই ফুচকা। আশা করি রেসিপিটি উপভোগ করবেন!
গর্ভাবস্থায় ফুচকা খাওয়া
গর্ভাবস্থায় খাবারের বিষয়ে বিশেষভাবে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই সময় মায়ের এবং শিশুর স্বাস্থ্য নির্ভর করে মায়ের খাবারের উপর। ফুচকা একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, কিন্তু গর্ভাবস্থায় এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন:
স্বাস্থ্যকর দিক:
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা: স্ট্রিট ফুড সাধারণত খোলা বাতাসে তৈরি হয়, যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তাই বাড়িতে তৈরি ফুচকা খাওয়া নিরাপদ।
- সঠিক উপাদান: গর্ভাবস্থায় ফুচকার মধ্যে ব্যবহৃত উপাদানগুলি যেমন পানি, চাটনি, পুর ইত্যাদি সতেজ এবং বিশুদ্ধ হওয়া উচিত।
স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প:
- হাইজিনিক উপায়ে তৈরি: বাড়িতে পরিষ্কার উপায়ে ফুচকা তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। এর মাধ্যমে খাদ্যে ভেজাল এবং জীবাণু থেকে মুক্ত থাকা যায়।
- কম মশলাদার ও কম তেলযুক্ত: ফুচকার পুর এবং চাটনিগুলি কম মশলাদার এবং কম তেলযুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।
কিছু পরামর্শ:
- তাজা উপাদান ব্যবহার করুন: ফুচকার পুর এবং চাটনি তাজা উপাদান দিয়ে তৈরি করুন।
- কম মশলাদার রাখুন: গর্ভাবস্থায় বেশি মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এটি হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- পরিমিত পরিমাণে খান: একবারে অনেক বেশি ফুচকা না খাওয়াই ভালো। পরিমিত পরিমাণে খান।
- শুধু বাড়িতে তৈরি খান: রাস্তার ফুচকা খাওয়া এড়িয়ে চলুন, কারণ সেগুলোতে জীবাণু থাকার সম্ভাবনা বেশি।
খাবারের পরে মনোযোগ:
ফুচকা খাওয়ার পর যদি কোনোরকম অস্বস্তি, পেটের সমস্যা, বা অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেয়, তবে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
গর্ভাবস্থায় সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিতে হবে এবং কোনো সন্দেহ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ফুচকা নিয়ে ক্যাপশন
ফুচকা নিয়ে কিছু মজার এবং ক্রিয়েটিভ ক্যাপশন হতে পারে:
- “ফুচকা: এক চামচে মজা, এক জীবনেই ভালোবাসা।”
- “ফুচকা ছাড়া জীবনের স্বাদই অসম্পূর্ণ!”
- “ফুচকা: ছোট্ট গোল, অসীম স্বাদ!”
- “ফুচকার প্রতি ভালোবাসা, বাঙালির চিরন্তন রসনা।”
- “ফুচকা খাওয়ার আনন্দ, বৃষ্টি দিনে বাড়তি আনন্দ!”
- “যেখানে ফুচকা, সেখানে হাসি!”
- “ফুচকা প্রেমে পড়লে, সব দুঃখ উধাও।”
- “ফুচকা খাও, মন ভালো থাকো!”
- “ফুচকা: প্রতিদিনের এক মজার মুহূর্ত।”
- “ফুচকা, তুমিই আমার প্রথম প্রেম!”
আশা করি, এই ক্যাপশনগুলো সকলের পছন্দ হবে!
ফুচকার ইংরেজি শব্দ কি-ফুচকা meaning in english-ফুচকা ইংরেজি কি
“ফুচকা” এর ইংরেজি অনুবাদ puffy। এই খাবারটি ভারতীয় ও বাঙালি রাজ্যের জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড হিসেবে পরিচিত।