ভূমিকা : মানবসভ্যতার অগ্রগতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের বিস্ময়কর অবদানের ফলে পৃথিবীতে মানুষ সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য লাভ করেছে। এই বিজ্ঞানেরই আবার কিছু ক্ষতিকর দিক আছে। বিজ্ঞানের কোনো কোনো আবিষ্কার মানুষকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। প্রাকৃতিক শক্তির বিচিত্র ও ব্যাপক ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে বিশ্বের দেশগুলো নানা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। এ ভারসাম্যহীনতার কারণে পৃথিবী নামক গ্রহটির সামনে চরম দুর্দিন ঘনিয়ে আসছে। বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া’।
ওজোনস্তর : পৃথিবীকে চারপাশে বেষ্টন করে আছে বায়ুমণ্ডল। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ভূপৃষ্ঠের ১২৮৭ কিমি. (কারো কারো মতে ১০,০০০ কিমি.) ঊর্ধ্ব পর্যন্ত বায়ুমণ্ডল বিস্তৃত। এ বায়ুমণ্ডল বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত। ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন স্তরটিকে ট্রপোস্ফিয়ার বলে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর গড় উচ্চতা প্রায় ১২ কিলোমিটার। এ স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির ক্রমে উষ্ণতা হ্রাস পায়। এর উপরের স্তরটিকে স্ট্রাটোস্ফিয়ার বলা হয়। উপরের দিকে এর বিস্তার প্রায় ৩২ কিমি.। এ স্ট্রাটোস্ফিয়ারের উপরের দিককার ২০ কিমি. পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত ওজোন গ্যাসের স্তরটিই ওজোনস্তর। ওজোনস্তর সূর্যালোকের অতি-বেগুনি রশ্মি শোষণ করে থাকে। অতি-বেগুনি রশ্মি শোষণ করে বলে ওজোনস্তরের তাপমাত্রা অনেক বেশি ( প্রায় ৭৬° সে )। ওজোনস্তরটি না থাকলে সূর্যের অতি-বেগুনি রশ্মির দহনে প্রাণিকুল পুড়ে যেত। ওজোনস্তরের অবস্থানের ফলে জীবজগৎ সূর্যের অতি-বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পায়। ওজোনস্তর বায়ুমণ্ডলে একটি নিশ্ছিদ্র স্তর। সূর্যের তাপ বায়ুমণ্ডলের ভেতর দিয়ে পৃথিবীতে আসে এবং পৃথিবীর পরিবেশকে
জীবনধারণের উপযোগী করে রাখে। তবে সূর্যতাপের সবটুকুই পৃথিবীতে আসে না, কিছু ওজোনস্তরে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে মহাশূন্যে ফিরে যায়। ফলে পৃথিবী বেশি উত্তপ্ত যেমন হয় না, তেমনি শীতলও হয়ে পড়ে না, অর্থাৎ ওজোনস্তরই তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে।

গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া : ‘গ্রিন হাউস’ কথাটির আভিধানিক অর্থ হলো ‘সবুজ ঘর’। মূলত এটি একটি কাচের ঘর। এ ঘরের ভেতরে সূর্যের আলো সহজে প্রবেশ করতে পারে। আলো প্রবেশ করলে ঘরের ভেতর উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় ও তাপশক্তির সৃষ্টি হয়। এ কাচঘরের কাচের আচ্ছাদন ভেদ করে ভেতরের তাপশক্তি বাইরে যেতে পারে না। শীতপ্রধান দেশে নির্দিষ্ট মাত্রায় তাপ ধরে রেখে উদ্ভিদ ও সবজি জন্মানোর জন্য ‘গ্রিন হাউস’ তৈরি করা হয়। পৃথিবীর চারপাশ ঘিরে বায়ুমণ্ডলে এমন একটি গ্যাসীয় আবরণ সৃষ্টি হয়েছে, যা সূর্যালোক থেকে প্রাপ্ত তাপ ধরে রাখার ক্ষেত্রে গ্রিন হাউসের মতো কাজ করে। এভাবে গ্যাসীয় আবরণের ভেতরে সংরক্ষিত উত্তাপ আবরণের বাইরে যেতে পারে না। কারণ সূর্যের তাপ আপতিত হওয়ার সময় ক্ষুদ্র তরঙ্গ-দৈর্ঘ্যের থাকে, কিন্তু প্রতিফলিত হলে তা বৃহৎ তরঙ্গ-দৈর্ঘ্যের হয়। ক্ষুদ্র তরঙ্গ-দৈর্ঘ্যের উত্তাপ কাচের ভেতর দিয়ে যেতে পারে, কিন্তু বৃহৎ তরঙ্গ-দৈর্ঘ্যের উত্তাপ কাচের ভেতর দিয়ে যেতে পারে না। সূর্যের আলো মহাকাশ পেরিয়ে বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তরের ভেতর দিয়ে এসে ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে। এ উত্তাপের অনেকাংশ প্রতিফলিত হয়ে মহাশূন্যে ফিরে যায়। কিন্তু বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন গ্যাস যেমন, কার্বনডাই-অক্সাইড, কার্বন-মনো-অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (সি.এফ.সি.) কিছু উত্তাপ শোষণ করে। ফলে উত্তাপের একাংশ আবহাওয়া মণ্ডলে থেকে যায়। কার্বনডাই-অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন ইত্যাদি গ্যাসকে গ্রিন হাউস গ্যাস বলা হয়। বনাঞ্চল ধ্বংস ও শিল্প-কারখানা বৃদ্ধির কারণে গ্রিন হাউস গ্যাস বৃদ্ধি পাচ্ছে। বায়ুমণ্ডলে এ ধরনের গ্যাস যতই বাড়বে, ততই সেখানে তাপ ধরে রাখার মতো একটি ঢাকনির সৃষ্টি হবে। এ তাপ ধরে রাখার ঢাকনির কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে; এটিই গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া।
গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ার কারণ : প্রাচীনকাল থেকে মানুষ পরিবেশের সঙ্গে সমন্বয় করে জীবন ধারণ করে আসছে। কিন্তু সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ন, অপরিকল্পিত কলকারখানা স্থাপন, যানবাহনের কালো ধোঁয়া, ত্রুটিপূর্ণ বায়ু নিষ্কাশন, রাসায়নিক তেজস্ক্রিয়তা, কীটনাশকের ব্যবহার, বনাঞ্চল ধ্বংস ইত্যাদির ফলে মানুষ ও তার পরিবেশের মধ্যে সমন্বয় বিনষ্ট হচ্ছে এবং কার্বনডাই-অক্সাইড ইত্যাদি গ্রিন হাউস গ্যাস বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। এর প্রতিক্রিয়ায় বায়ুম-লের ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সূর্যের মারাত্মক তেজস্ক্রিয় রশ্মিগুলো পৃথিবীতে এসে পড়ছে। এ কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবার আশঙ্কা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ার প্রভাব : বিজ্ঞানীদের ধারণা এ পর্যন্ত পৃথিবীর গড়তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বর্তমান হারে বাড়তে থাকলে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা আরো ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে। এতে পৃথিবীতে একটি অভাবনীয় অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা। কেননা এক ডিগ্রি তাপমাত্রার চেয়ে কম উত্তাপ বৃদ্ধি পৃথিবীর পরিবেশ ও জলবায়ুতে এক বিরাট পরিবর্তন ঘটাতে পারে। এ প্রতিক্রিয়ার ফলে সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে, ঝড়-বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যাবে, উপকূলীয় অঞ্চল ও নদ-নদীতে পানির বৃদ্ধি ঘটবে। এরূপ উত্তাপ বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চলে জমে থাকা বরফ গলতে শুরু করবে এবং সমুদ্রে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে ভূপৃষ্ঠের অনেক নিচু এলাকা, অনেক দ্বীপ-দেশ ও ভূখণ্ড পানির নিচে তলিয়ে যাবে। পৃথিবীর বহু দেশ বন্যাকবলিত হয়ে পড়বে ও লবণাক্ততা বিস্তার লাভ করবে। এতে কৃষি উৎপাদন, মৎস্য চাষ ও বনাঞ্চল মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাছাড়া শিল্প, ব্যবসায়-বাণিজ্য ও জনবসতির ওপরও এর ক্ষতিকর প্রভাব অনিবার্য হয়ে দেখা দেবে।
বাংলাদেশে গ্রিন হাউসের প্রভাব : বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ। আয়তনের তুলনায় এখানে জনসংখ্যা অনেক বেশি। তাছাড়া এ দেশের অধিকাংশ লোকই দরিদ্র ও অশিক্ষিত। গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করছে। আগামী পঞ্চাশ বছরের মধ্যে ভূপৃষ্ঠের উত্তাপ বৃদ্ধি পেলে এ দেশের জলবায়ুর পরিবর্তন অত্যন্ত ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। ফলে ঝড়-বৃষ্টির তীব্রতা বাড়বে, সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে, সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে ও দেশের একটি অংশ সমুদ্রে তলিয়ে যাবে। সমুদ্রতল পরিবর্তিত হলে দেশের অভ্যন্তরে লবণাক্ততার প্রবেশ বৃদ্ধি পাবে। পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে পানি নিষ্কাশন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নির্মিত বহু বাঁধ পানিতে তলিয়ে যাবে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা মনে করেন, বরিশাল ও খুলনা সমুদ্র দ্বীপে রূপান্তরিত হবে। নদ-নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাবে, ফলে পানীয়জলের অভাব প্রকট হয়ে দেখা
দেবে। মৎস্য-সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঘন ঘন বন্যা, সাইক্লোন ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হবে। গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ার প্রভাবে শস্য উৎপাদন ব্যাহত হবে ও বনভূমি ধ্বংস হবে। সুন্দরবন বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া মানুষের ঘরবাড়ি, উন্নয়ন অবকাঠামো, জীবজন্তু, যোগাযোগব্যবস্থা ইত্যাদির ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতিসাধিত হবার আশঙ্কা রয়েছে।
গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ার কবলে বিশ্ব : উন্নত বিশ্বের জনগণ ভোগের প্রয়োজনে বিলাসবহুল জীবনযাত্রার সামগ্রী আবিষ্কার ও উৎপাদন করে চলেছে। এসব দ্রব্যসামগ্রী ব্যবহারের ফলে বায়ুমণ্ডলে ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (সি.এফ.সি.) নামক ক্ষতিকারক গ্যাস অধিক পরিমাণে উৎপন্ন হচ্ছে। এ সি.এফ.সি. গ্যাসের একটি অণুর তাপ ধারণ ক্ষমতা পনেরো হাজার কার্বন ডাই-অক্সাইড অণুর সমান। এ গ্যাস সূর্যের অতি-বেগুনি রশ্মির ফিল্টারকারী ওজোনস্তরকে প্রতিনিয়ত ধ্বংস করে চলেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এক অণু সি.এফ.সি. গ্যাস দু’হাজার ওজোন-অণু ধ্বংস করতে পারে। এরূপ ক্ষতিকারক গ্রিন হাউস গ্যাসের অধিক হারে উপস্থিতির কারণে ওজোনস্তর ক্রমশ পাতলা হচ্ছে। তাছাড়া মহাশূন্যে উৎক্ষিপ্ত মহাকাশ যান ওজোনস্তরের আবরণকে ফুটো করে চলেছে। গ্রিন হাউস প্রভাবের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর ফলে বিশ্বের পরিবেশ ও জলবায়ুর ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে। পৃথিবীর এ উত্তাপ বৃদ্ধির পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে। সমুদ্রে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে ও পৃথিবীর অনেকাংশ
সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ফলে খরা, বন্যা, সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস প্রভৃতি অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া মেরু অঞ্চলের বরফ অধিক হারে গলতে থাকবে। বিশ্বে মরুময়তাও বেড়ে যাবে।
গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া রোধের উপায় : সূর্যের ক্ষতিকর অতি-বেগুনি রশ্মি থেকে পৃথিবীকে নিরাপদ রাখতে বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওজোনস্তরকে ক্ষতিকারক গ্রিন হাউস গ্যাস অতি মাত্রায় উৎপন্ন হওয়ার পেছনে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোই দায়ী। ওজোনস্তর ক্ষয়রোধে তাই যুক্তরাষ্ট্রসহ শিল্পোন্নত দেশসমূহের দায়িত্বই আজ সবচেয়ে বেশি। সুখের বিষয়, গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে শিল্পোন্নত দেশগুলো সম্প্রতি একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। বর্তমান ২০০৭ সালের আগস্টে ভিয়েনায় জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সচিবালয় আয়োজিত এক সম্মেলনে ১৫৮টি দেশের প্রায় এক হাজার প্রতিনিধি গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ কমিয়ে আনার জন্য কাজ করতে সম্মত হয়েছে। এটাকে কিয়োটা চুক্তি বাস্তবায়নের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ঊর্ধ্বগতি রোধ করা না গেলে ২০৫০ সালের মধ্যে তা মানুষের সহনীয় মাত্রার বাইরে চলে যেতে পারে। এটি রোধ করতে হলে ক্ষতিকর গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের জন্য দায়ী প্রক্রিয়াগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বনজঙ্গল ধ্বংস করার প্রক্রিয়া বন্ধ করে বনায়নের প্রতি জোর দিতে হবে। সর্বোপরি বিশ্বের জনগণকে অতি ভোগবাদী জীবনযাত্রা পরিহার করে সংযত জীবনাদর্শে অভ্যস্ত হতে হবে।
উপসংহার : গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। পৃথিবীর উন্নত ও উন্নয়নশীল সকল দেশ এ ভয়াবহ অভিশাপের শিকার। উন্নয়নশীল দেশে এ সংকটের মাত্রা অনেক বেশি। স্বাভাবিক কারণে বাংলাদেশে এ সমস্যা অত্যন্ত মারাত্মক। বিশ্বকে এ সংকট থেকে মুক্ত করতে বিজ্ঞানীরা চিন্তা করছেন। পরিবেশের এ দূষণ প্রতিরোধ করার জন্যে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া যেহেতু একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা, একে মোকাবিলা করতে তাই আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হবে। গ্রিন হাউস সংকট নিরসনে অলস বসে থাকার সুযোগ নেই কিংবা বিলম্বেরও সময় নেই। এ ব্যাপারে বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল সকল দেশ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে গেলে বিশ্বকে সম্ভাব্য বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করা খুব বেশি অসাধ্য হবে বলে মনে হয় না।