জাতীয় ফুল শাপলা রচনা
সংকেত : *সূচনা *শাপলার উৎপত্তি *প্রাপ্তিস্থান *আনন্দের প্রতীক *শাপলা চত্বর *শাপলার প্রকারভেদ *উপকারিতা *সৌন্দর্য *উপসংহার।
সূচনা : আমাদের দেশে জলে, ডাঙ্গায়, বনে, জঙ্গলে নানা রকমের ফুল ফোটে। এর মধ্যে শাপলা সাধারণ হওয়ায় এটি আমাদের জাতীয় ফুল। শাপলার অন্যান্য নাম হলো শালুক ফুল ও নাল ফুল।
শাপলার উৎপত্তি : ভাদ্র-আশ্বিন মাসে খাল-বিল, পুকুর ও ডোবায় অজস্র শাপলা ফুল ফোটে। শাপলা ফুল চাষ করতে হয় না। এরা এমনিতেই ফোটে। বর্ষার সময় শাপলার অঙ্কুর মাটি থেকে গজিয়ে ওঠে। এরপর মূল অংশ থেকে শাপলার গাছ বের হয়ে পানির উপর পাতা মেলে ভাসতে থাকে।
প্রাপ্তিস্থান : বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই শাপলা পাওয়া যায়। তবে বিল-ঝিল, পুকুর-হাওড় ও দিঘীতে অজস্র শাপলা ফোটে।
আনন্দের প্রতীক : শাপলা দিয়ে গ্রাম্য অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা একপ্রকার মালা তৈরি করে থাকে। এ মালাটি কোমলমতি ছেলেমেয়েদের কাছে সোনার চাইতে বেশি মূল্যবান।
শাপলা চত্বর : আমাদের দেশে শাপলা ফুলকে অধিক মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তাই মতিঝিলে সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন শাপলা চত্বর নামে একটি ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে।
শাপলার প্রকারভেদ : আমাদের দেশে শাপলা সাধারণত তিন রকমের হয়ে থাকে। যেমন— সাদা লাল ও নীল। এর মধ্যে সাদা শাপলাই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
উপকারিতা : খাদ্য হিসেবে শাপলার লতা খুবই প্রিয় তরকারি। এর ডাটা বেশ মুখরোচক খাদ্য। এছাড়া শাপলা ফুলের দানার খৈ গ্রাম বাংলার শিশু-কিশোরদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়।
সৌন্দর্য : শাপলা অনেকটা পদ্মফুলের মতো। বর্ষাকালে যখন মাঠ, ডোবা, পুকুর, বিল পানিতে ভরপুর থাকে তখন চারদিক উদ্ভাসিত করে শাপলা ফোটে। শাপলা সাধারণত রাতের বেলায় ফোটে। শরতের
জোছনায় শাপলা হাসি অতি চমৎকার।
উপসংহার : শাপলা আমাদের জাতীয় জীবনের প্রতীক। এ ফুলকে গোলাপ, বেলি, জবা, গাঁদা, জুঁই এর মতো চাষাবাদ করতে হয় না। শাপলা ফুল বাঙালি জাতির ঐতিহ্যের প্রতীক। তাই শাপলা ফুলের প্রতি যত্ন নেওয়া উচিত।
আমাদের অন্যান্য রচনা :
বর্ষাকাল রচনা
আমাদের বিদ্যালয় রচনা
আমাদের গ্রাম রচনা
স্বাধীনতা দিবস রচনা
বিজয় দিবস রচনা