জ্বর মাথা ব্যাথার ঔষধের নাম

Medecine

জ্বর এবং মাথা ব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু সাধারণ ঔষধের নাম এখানে দেওয়া হলো:

জ্বর মাথা ব্যাথার ঔষধের নাম
  1. প্যারাসিটামল (Paracetamol):
    • সাধারণত জ্বর এবং হালকা থেকে মাঝারি মাথা ব্যথার জন্য ব্যবহার করা হয়।
    • উদাহরণ: টাইলেনল (Tylenol), ক্রোসিন (Crocin), প্যারাসল (Parasel)।
  2. ইবুপ্রোফেন (Ibuprofen):
    • ব্যথা এবং প্রদাহ কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
    • উদাহরণ: অ্যাডভিল (Advil), মটরিন (Motrin), ব্রুফেন (Brufen)।
  3. নাপ্রক্সেন (Naproxen):
    • দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং প্রদাহ কমায়।
    • উদাহরণ: এলিভ (Aleve), ন্যাপ্রোসিন (Naprosyn)।
  4. এসপিরিন (Aspirin):
    • ব্যথা, প্রদাহ এবং জ্বর কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
    • উদাহরণ: বায়ার (Bayer), একট্রা স্ট্রেংথ (Extra Strength)।

এই ঔষধগুলি সাধারণত ওভার দ্য কাউন্টার (OTC) পাওয়া যায়, তবে ব্যবহার করার আগে ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিছু লোকের জন্য এই ঔষধগুলি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে বা অন্য ঔষধের সাথে ইন্টার‌্যাক্ট করতে পারে, তাই সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

মাথা ব্যাথা-মাথা ব্যাথা হলে করণীয় কি

মাথা ব্যথার জন্য কিছু সাধারণ ঔষধ এবং ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি নিচে উল্লেখ করা হলো:

সাধারণ ঔষধ:

  1. প্যারাসিটামল (Paracetamol):
    • সাধারণত মাথা ব্যথা কমাতে ব্যবহৃত হয়।
    • উদাহরণ: টাইলেনল (Tylenol), ক্রোসিন (Crocin)।
  2. ইবুপ্রোফেন (Ibuprofen):
    • ব্যথা এবং প্রদাহ কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
    • উদাহরণ: অ্যাডভিল (Advil), মটরিন (Motrin)।
  3. নাপ্রক্সেন (Naproxen):
    • দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র ব্যথার জন্য ব্যবহৃত হয়।
    • উদাহরণ: এলিভ (Aleve), ন্যাপ্রোসিন (Naprosyn)।
  4. এসপিরিন (Aspirin):
    • ব্যথা এবং প্রদাহ কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
    • উদাহরণ: বায়ার (Bayer), একট্রা স্ট্রেংথ (Extra Strength)।

ঘরোয়া প্রতিকার:

  1. পানি পান করা:
    • পর্যাপ্ত পানি পান করে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা।
  2. বিশ্রাম নেওয়া:
    • যথেষ্ট বিশ্রাম নেওয়া এবং মাথা ব্যথার সময় শান্ত স্থানে থাকা।
  3. ঠাণ্ডা বা গরম প্যাক ব্যবহার করা:
    • কপালে ঠাণ্ডা প্যাক বা গরম প্যাক ব্যবহার করা।
  4. নিয়মিত খাওয়া:
    • সময়মত খাবার খাওয়া এবং খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখা।
  5. ম্যাসাজ করা:
    • মাথা, ঘাড়, এবং কাঁধ ম্যাসাজ করা।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:

  1. নিয়মিত ব্যায়াম করা:
    • নিয়মিত ব্যায়াম করা মাথা ব্যথার সম্ভাবনা কমাতে সহায়ক হতে পারে।
  2. চোখের যত্ন নেওয়া:
    • দীর্ঘ সময় কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রীনে কাজ করলে মাঝেমাঝে বিরতি নেওয়া এবং চোখের ব্যায়াম করা।
  3. মানসিক চাপ কমানো:
    • স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি যেমন ধ্যান, যোগব্যায়াম প্রয়োগ করা।

মাথা ব্যথা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্য কোন গুরুতর উপসর্গ থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

মাথা ব্যাথা ও বমি কোন রোগের লক্ষণ-মাথা ব্যাথা ও বমি ভাব কিসের লক্ষণ

মাথা ব্যথা ও বমি একাধিক রোগ বা স্বাস্থ্য সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ কারণ এবং রোগের তালিকা দেওয়া হলো, যা মাথা ব্যথা ও বমির লক্ষণ হতে পারে:

১. মাইগ্রেন (Migraine)

  • লক্ষণ: তীব্র মাথা ব্যথা, যা সাধারণত মাথার একপাশে হয়, বমি বমি ভাব বা বমি, আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা।
  • ব্যবস্থা: মাইগ্রেনের ঔষধ, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, শান্ত এবং অন্ধকার স্থানে থাকা।

২. মেনিনজাইটিস (Meningitis)

  • লক্ষণ: তীব্র মাথা ব্যথা, বমি, জ্বর, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, আলোতে সংবেদনশীলতা।
  • ব্যবস্থা: দ্রুত মেডিকেল সাহায্য গ্রহণ, এই রোগটি জীবননাশক হতে পারে।

৩. খাদ্য বিষক্রিয়া (Food Poisoning)

  • লক্ষণ: মাথা ব্যথা, বমি, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া।
  • ব্যবস্থা: পর্যাপ্ত পানি পান করা, বিশ্রাম, গুরুতর হলে ডাক্তার দেখানো।

৪. মস্তিষ্কে আঘাত (Concussion)

  • লক্ষণ: মাথা ব্যথা, বমি, স্মৃতিভ্রংশ, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি।
  • ব্যবস্থা: মেডিকেল সাহায্য গ্রহণ, পর্যাপ্ত বিশ্রাম।

৫. ডিহাইড্রেশন (Dehydration)

  • লক্ষণ: মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি, তৃষ্ণা।
  • ব্যবস্থা: পর্যাপ্ত পানি পান করা, ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় গ্রহণ।

৬. উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension)

  • লক্ষণ: মাথা ব্যথা, বমি, দৃষ্টি সমস্যা, বুকে ব্যথা।
  • ব্যবস্থা: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়াম।

৭. ইনফ্লুয়েঞ্জা (Flu)

  • লক্ষণ: জ্বর, মাথা ব্যথা, বমি, শরীর ব্যথা, ক্লান্তি।
  • ব্যবস্থা: পর্যাপ্ত বিশ্রাম, প্রচুর পানি পান, ভাইরাসবিরোধী ঔষধ (ডাক্তার এর পরামর্শে)।

৮. মস্তিষ্কে টিউমার (Brain Tumor)

  • লক্ষণ: তীব্র ও ক্রমাগত মাথা ব্যথা, বমি, দৃষ্টি সমস্যা, ভারসাম্যহীনতা।
  • ব্যবস্থা: দ্রুত মেডিকেল সাহায্য গ্রহণ, নির্ণয় এবং চিকিৎসা।

মাথা ব্যথা ও বমি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা গুরুতর লক্ষণ প্রকাশ পায়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। দ্রুত চিকিৎসা পেতে দেরি করা উচিত নয় কারণ কিছু কারণ গুরুতর হতে পারে।

গ্যাস থেকে মাথা ব্যাথা

গ্যাসের সমস্যা থেকে মাথা ব্যথা হতে পারে। গ্যাসের কারণে পেটের চাপ বৃদ্ধি পেলে এটি মাথা ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে। গ্যাস থেকে মাথা ব্যথা হলে কিছু সাধারণ ব্যবস্থা এবং প্রতিকার নিচে দেওয়া হলো:

প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা:

  1. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন:
    • গ্যাস সৃষ্টিকারী খাবার যেমন শিম, পেঁয়াজ, বাঁধাকপি, কার্বনেটেড পানীয়, বেশি চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা।
    • খাবার ধীরে ধীরে এবং ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া।
    • নির্দিষ্ট খাবারের প্রতি সংবেদনশীল হলে সেগুলো এড়িয়ে চলা।
  2. পানি পান করা:
    • পর্যাপ্ত পানি পান করা। এটি হজম প্রক্রিয়া সহায়ক এবং গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।
  3. ব্যায়াম:
    • হালকা ব্যায়াম যেমন হাঁটাচলা, যোগব্যায়াম গ্যাস কমাতে সহায়ক হতে পারে।
  4. এন্টাসিড:
    • কিছু ওভার দ্য কাউন্টার এন্টাসিড যেমন সিমেথিকন (Simethicone) গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
  5. আদা বা পুদিনা চা:
    • আদা চা বা পুদিনা চা পান করলে গ্যাসের সমস্যা কমতে পারে এবং হজমে সহায়ক হতে পারে।
  6. খাদ্যের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ:
    • অল্প পরিমাণে কিন্তু ঘন ঘন খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলা।

ঔষধ:

  1. এন্টাসিড:
    • সিমেথিকন (Simethicone) যুক্ত ঔষধ যেমন গ্যাস-এক্স (Gas-X)।
  2. প্রোবায়োটিকস:
    • প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ খাবার বা সাপ্লিমেন্ট, যা হজম সহায়ক ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য রক্ষা করে।

ঘরোয়া প্রতিকার:

  1. জলপাই তেল এবং লেবুর রস:
    • এক চামচ জলপাই তেল এবং লেবুর রস মিশিয়ে পান করা।
  2. ফেনেল সিড (মৌরি):
    • মৌরি চিবিয়ে খাওয়া বা মৌরি চা পান করা।

মাথা ব্যথার প্রতিকার:

  1. প্যারাসিটামল (Paracetamol):
    • সাধারণ মাথা ব্যথার জন্য ব্যবহার করা যায়।
  2. ইবুপ্রোফেন (Ibuprofen):
    • যদি মাথা ব্যথা তীব্র হয় তবে ইবুপ্রোফেন ব্যবহার করা যায়।
  3. ম্যাসাজ:
    • মাথা, ঘাড় এবং কাঁধ ম্যাসাজ করা।
  4. প্রচুর বিশ্রাম:
    • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং শান্ত স্থানে থাকা।

গ্যাসের সমস্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা এর সঙ্গে অন্য কোন গুরুতর উপসর্গ থাকে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ঘন ঘন মাথা ব্যাথার কারণ কি

ঘন ঘন মাথা ব্যথার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ কারণ ও সম্ভাব্য রোগের তালিকা দেওয়া হলো:

১. মাইগ্রেন (Migraine)

  • লক্ষণ: তীব্র মাথা ব্যথা, সাধারণত মাথার একপাশে হয়, বমি বমি ভাব বা বমি, আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা।
  • কারণ: হরমোনাল পরিবর্তন, কিছু খাবার বা পানীয়, স্ট্রেস, ঘুমের অভাব।

২. টেনশন টাইপ মাথা ব্যথা (Tension-Type Headache)

  • লক্ষণ: মৃদু থেকে মাঝারি ব্যথা, যা মাথার চারপাশে ব্যান্ডের মতো অনুভূত হয়।
  • কারণ: মানসিক চাপ, ক্লান্তি, দীর্ঘ সময় একই অবস্থানে থাকা, চোখের ক্লান্তি।

৩. ক্লাস্টার মাথা ব্যথা (Cluster Headache)

  • লক্ষণ: তীব্র, একপাশে ব্যথা, চোখের চারপাশে বা মাথার একপাশে।
  • কারণ: নির্দিষ্ট কারণ এখনও অজানা, তবে তামাক ও মদ্যপান একটি ভূমিকা রাখতে পারে।

৪. সাইনাসের সমস্যা (Sinus Headache)

  • লক্ষণ: কপাল, চোখ এবং গালের চারপাশে ব্যথা, সর্দি বা নাক বন্ধ।
  • কারণ: সাইনাস ইনফেকশন বা প্রদাহ।

৫. চোখের সমস্যা (Eye Strain)

  • লক্ষণ: মাথা ব্যথা, চোখে চাপ বা ক্লান্তি, দৃষ্টি সমস্যা।
  • কারণ: দীর্ঘ সময় কম্পিউটার স্ক্রিনে কাজ করা, চোখের সমস্যা।

৬. হরমোনাল পরিবর্তন (Hormonal Changes)

  • লক্ষণ: মাইগ্রেনের মতো মাথা ব্যথা, যা মাসিক চক্রের সময় হতে পারে।
  • কারণ: হরমোনের মাত্রা পরিবর্তন।

৭. খাদ্যাভ্যাস ও ডিহাইড্রেশন (Diet and Dehydration)

  • লক্ষণ: মাথা ব্যথা, ক্লান্তি।
  • কারণ: অপর্যাপ্ত পানি পান, নির্দিষ্ট খাবার বা পানীয় গ্রহণ।

৮. অধিক ওষুধ সেবন (Medication Overuse)

  • লক্ষণ: নিয়মিত ওষুধ গ্রহণের কারণে মাথা ব্যথা।
  • কারণ: অতিরিক্ত পেইনকিলার বা অন্যান্য ঔষধ সেবন।

৯. স্লিপ এপ্নিয়া (Sleep Apnea)

  • লক্ষণ: সকালে মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, দিনে ঘুমিয়ে পড়া।
  • কারণ: ঘুমের সময় শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া।

১০. অত্যধিক মানসিক চাপ (Excessive Stress)

  • লক্ষণ: মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, ঘুমের সমস্যা।
  • কারণ: মানসিক চাপ, উদ্বেগ, ডিপ্রেশন।

১১. মস্তিষ্কের টিউমার (Brain Tumor)

  • লক্ষণ: ক্রমাগত বা গুরুতর মাথা ব্যথা, দৃষ্টি সমস্যা, ভারসাম্যহীনতা, বমি।
  • কারণ: মস্তিষ্কের টিউমার বা গঠনগত পরিবর্তন।

প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা:

  1. স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা:
    • নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাদ্য গ্রহণ।
    • মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম।
  2. চোখের যত্ন:
    • দীর্ঘ সময় কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করলে মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া এবং চোখের ব্যায়াম করা।
  3. প্রচুর পানি পান করা:
    • ডিহাইড্রেশন এড়াতে পর্যাপ্ত পানি পান করা।
  4. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা:
    • যদি ঘন ঘন মাথা ব্যথা হয়, তাহলে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা।
  5. ওষুধ:
    • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পেইনকিলার বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণ করা।
  6. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন:
    • নির্দিষ্ট খাবার বা পানীয় থেকে মাথা ব্যথা হলে সেগুলি এড়িয়ে চলা।
  7. বিশ্রাম এবং রিলাক্সেশন:
    • মাথা ব্যথার সময় যথেষ্ট বিশ্রাম নেওয়া এবং একটি শান্ত স্থানে থাকা।

ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ নির্ধারণ এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা এবং নির্ণয়ের মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব।

মাথা ব্যাথা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারণ কি

মাথা ব্যথা ও চোখে ঝাপসা দেখার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ কারণ ও সম্ভাব্য রোগের তালিকা দেওয়া হলো:

১. মাইগ্রেন (Migraine)

  • লক্ষণ: তীব্র মাথা ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা, বমি বমি ভাব বা বমি।
  • কারণ: হরমোনাল পরিবর্তন, কিছু খাবার বা পানীয়, স্ট্রেস, ঘুমের অভাব।

২. সাইনাসাইটিস (Sinusitis)

  • লক্ষণ: মাথা ব্যথা, নাক বন্ধ বা সর্দি, চোখের চারপাশে চাপ অনুভব করা, ঝাপসা দেখা।
  • কারণ: সাইনাস ইনফেকশন বা প্রদাহ।

৩. উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension)

  • লক্ষণ: মাথা ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, বুকের ব্যথা, ক্লান্তি।
  • কারণ: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকা।

৪. লো ব্লাড সুগার (Hypoglycemia)

  • লক্ষণ: মাথা ব্যথা, ঝাপসা দেখা, ঘাম, ক্লান্তি, দুর্বলতা।
  • কারণ: অপর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ, ডায়াবেটিস ওষুধের অতিরিক্ত মাত্রা।

৫. গ্লুকোমা (Glaucoma)

  • লক্ষণ: চোখে চাপ অনুভব করা, ঝাপসা দেখা, মাথা ব্যথা, চোখের লালচে ভাব।
  • কারণ: চোখের ভিতরের চাপ বৃদ্ধি।

৬. মস্তিষ্কে টিউমার (Brain Tumor)

  • লক্ষণ: ক্রমাগত বা গুরুতর মাথা ব্যথা, দৃষ্টি সমস্যা, ভারসাম্যহীনতা, বমি।
  • কারণ: মস্তিষ্কের টিউমার বা গঠনগত পরিবর্তন।

৭. চোখের সমস্যার কারণে (Eye Problems)

  • লক্ষণ: মাথা ব্যথা, ঝাপসা দেখা, চোখের ক্লান্তি।
  • কারণ: চশমার পাওয়ার পরিবর্তন, চোখের ইনফেকশন, চোখের প্রদাহ।

৮. দীর্ঘ সময় কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার (Digital Eye Strain)

  • লক্ষণ: মাথা ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, চোখে চাপ অনুভব করা, চোখের ক্লান্তি।
  • কারণ: দীর্ঘ সময় কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনে কাজ করা।

৯. স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা (Neurological Problems)

  • লক্ষণ: মাথা ব্যথা, ঝাপসা দেখা, ভারসাম্যহীনতা, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা।
  • কারণ: স্নায়ুতন্ত্রের কোন সমস্যা বা প্রদাহ।

প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা:

  1. স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা:
    • নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাদ্য গ্রহণ।
    • মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম।
  2. চোখের যত্ন:
    • চশমার পাওয়ার সঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করা, প্রয়োজনে নতুন চশমা ব্যবহার করা।
    • দীর্ঘ সময় কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করলে মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া এবং চোখের ব্যায়াম করা।
  3. প্রচুর পানি পান করা:
    • ডিহাইড্রেশন এড়াতে পর্যাপ্ত পানি পান করা।
  4. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা:
    • যদি মাথা ব্যথা ও চোখে ঝাপসা দেখা নিয়মিত হয়, তাহলে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা।
  5. ওষুধ:
    • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণ করা।
  6. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন:
    • সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং সময়মত খাবার খাওয়া।

মাথা ব্যথা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারণ নির্ধারণ এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা এবং নির্ণয়ের মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব।

মাথা ব্যাথা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ঢাকা

ঢাকায় মাথা ব্যাথা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সম্পর্কে জানতে আপনি কিছু সাধারণ উপায় অনুসরণ করতে পারেন:

  1. অনলাইন সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধান করুন: ঢাকায় মাথা ব্যাথা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের জন্য ইন্টারনেটে অনলাইন সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধান করতে পারেন। এটি আপনাকে মোবাইল ও ওয়েব এর মাধ্যমে অনেকগুলো ডাক্তারের তালিকা দেখাবে।
  2. অনলাইন ডাক্তারের ডাইরেক্টরি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করুন: এটি একটি সাধারণ উপায় যেখান থেকে আপনি তাদের মেডিক্যাল লাইসেন্স সহ সহজে খুঁজতে পারেন।

স্কয়ার হাসপাতালে ঢাকা শহরে মাথা ব্যথার চিকিৎসার জন্য কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম এবং পদবী উল্লেখ করা হলো:

  1. ডা. মো. রাশেদুজ্জামান
    • পদবী: নিউরোলজিস্ট
    • বিশেষত্ব: মাথা ব্যথা, মাইগ্রেন, স্নায়ুরোগ
  2. ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী
    • পদবী: নিউরোলজিস্ট
    • বিশেষত্ব: মাথা ব্যথা, মাইগ্রেন, স্নায়ুরোগ
  3. ডা. রাকিবুল হাসান
    • পদবী: নিউরোসার্জন
    • বিশেষত্ব: মাথা ব্যথা, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুরোগ

এই ডাক্তারদের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য স্কয়ার হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্ট বিভাগে যোগাযোগ করতে পারেন। আশা করি এটি আপনাকে সাহায্য করবে।

সর্দি ও মাথা ব্যাথার ঔষধ নাম

সর্দি ও মাথা ব্যাথার জন্য কিছু ঔষধ নিচে দেওয়া হলো:

  1. প্যারাসিটামল (Paracetamol): এটি সর্দি ও মাথা ব্যাথা কমাতে ব্যবহৃত হয়।
  2. ইবুপ্রোফেন (Ibuprofen): এটি ব্যাথা ও জ্বর কমাতে ব্যবহৃত হয় এবং মাথা ব্যাথা কমিয়ে দেয়।
  3. সিটালামিন-ফেনাসেপ (Cetirizine-Phenazep): এটি মাথা ব্যাথা, সর্দি, ও এলার্জি সহ বিভিন্ন ধরণের অসুস্থতার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।


About author

saikat mondal

Welcome to www.banglashala.com. Banglashala is a unique address for Bengali subjects. banglashala is an online learning platform for Bengalis. So keep learning with us




Leave a Reply

1 + eighteen =