ভূমিকা : বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এ দেশে একটি স্বাভাবিক ব্যাপার।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবন দুঃসহ যন্ত্রণায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। এ দেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত। এদের একটি বড় অংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে এসব ভাগ্যহীনের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা হলো মানুষের জীবনের মৌলিক চাহিদা। এগুলোর মধ্যে অন্ন বা খাদ্যদ্রব্যের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। সাধারণভাবে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি বলতে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিকেই বোঝানো হয়।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ—
১. জনসংখ্যা বৃদ্ধি : সারা পৃথিবীতেই আজ জনসংখ্যা বৃদ্ধি একটি সংকট রূপে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে এই সংকট অত্যন্ত তীব্র। বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিমি. এবং লোকসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি। ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসেবে এটি পৃথিবীতে প্রথম। এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯৫৩ জন লোক বাস করে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে উৎপাদন বৃদ্ধির সামঞ্জস্য নেই। তাই এ দেশে দ্রব্যমূল্য বছরের পর বছর শুধু বেড়েই চলেছে।
২. চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যহীনতা : চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যহীনতা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির একটি বড় কারণ।
মানুষের জীবন চালানোর জন্যে কতকগুলো অত্যাবশ্যক চাহিদা আছে। এই চাহিদার সঙ্গে যদি সরবরাহের মিল না
থাকে তাহলে পণ্য সংগ্রহে একধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ফলে সংশ্লিষ্ট পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়।
৩. কৃষি উৎপাদন হ্রাস : বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল রেখে কিন্তু এ দেশে কৃষি
উৎপাদন বাড়ছে না, বরং হ্রাস পাচ্ছে। হ্রাস পাওয়ার কারণ হলো কৃষক যথাসময়ে সার, বীজ ও কীটনাশক ইত্যাদি
দ্রব্য পায় না। তাছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেও উৎপাদন আশানুরূপ হয় না। কৃষকেরা অনেক সময় মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে উৎপাদিত ফসলের সিংহভাগ মহাজনের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয়। এভাবে ফসল মজুতদারের হাতে চলে যায়। মজুতদার গুদামজাত করে ফসলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। এতে মূল্য বেড়ে যায়।
৪.রাজনৈতিক অস্থিরতা : দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। শ্রমিক ধর্মঘট, পরিবহন ধর্মঘট, হরতাল, সড়ক অবরোধ ইত্যাদি সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ে এবং পণ্যসামগ্রী এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহন বিঘ্নিত হয়। ক্ষেত্রবিশেষে, পচনশীল সামগ্রী নষ্ট হয়ে যায়। এরূপ অবস্থায় চাল, ডাল, মাছ, মাংস ইত্যাদির সরবরাহে অন্তরায় সৃষ্টি হলে এগুলোর দাম বেড়ে যায়। কোনো জিনিসের দাম একবার বেড়ে গেলে এ দেশে তা আর কখনো কমে না।
৫. রপ্তানির প্রভাব : কোনো কোনো পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা লাভজনক মনে হলে ব্যবসায়ীরা সেসব পণ্য রপ্তানি করে দেয়। এতে ঐ সকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়।
৬. চোরাকারবার তৎপরতা : অনেক সময় বেশি মুনাফা করার লোভে একশ্রেণির কালোবাজারি উৎপাদিত পণ্য চোরাপথে অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করে থাকে। ফলে পণ্যটির দাম বেড়ে যায়।
৭. কালো টাকার প্রভাব : অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধ প্রক্রিয়ায় প্রচুর কালো টাকার মালিক হয়ে যায়। কখনো আবার
ঘুষখোর চাকরিজীবীরাও অনৈতিক পদ্ধতিতে অফুরন্ত ধন-সম্পদ আহরণ করে থাকে। এই সব দুর্বৃত্তদের ক্রয়ক্ষমতা সাধারণ মানুষের তুলনায় অনেক বেশি হয়। অস্বাভাবিক চড়া দামে কিছু কিনতে এরা দ্বিধা করে না। এই কারণেও বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়।
৮. প্রশাসনিক দুর্নীতি : দেশে বর্তমানে প্রশাসনিক দুর্নীতি অতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-
কর্মচারীদের যোগসাজশে ব্যবসায়ীরা সিণ্ডিকেট গঠন করে। এসব সিণ্ডিকেট পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে এবং
ইচ্ছেমতো পণ্যমূল্য নির্ধারণ করে। পরিণতিতে বাজারে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়।
৯.কর বৃদ্ধি : সরকার কখনো কখনো অধিক অর্থের প্রয়োজনে জনগণের ওপর কর চাপিয়ে দেয়। ঐ কর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যা-ই হোক না কেন, তার ফলে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। বাজেটে কোনো পণ্যের ওপর কর বাড়াবার প্রস্তাব থাকলেই তার দাম অতি দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
১০. মুদ্রাস্ফীতি : অর্থনৈতিক ঘাটতি পূরণের জন্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও তার প্রতিকারকখনো কখনো সরকার বাজারে অতিরিক্ত মুদ্রা ছাড়লে সম্পদের তুলনায় টাকার পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে মুদ্রাস্ফীতি ঘটে। এই মুদ্রাস্ফীতির ফলে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়।
১১. আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি : বিশ্বের বাজারে কোনো দ্রব্যের দাম বাড়লে বাংলাদেশেও সঙ্গে সঙ্গে তার দাম বেড়ে যায়। দুঃখের বিষয়, উক্ত পণ্যের মূল্য যদি বিশ্বের বাজারে আবার কমে যায়, বাংলাদেশে কিন্তু তার মূল্য আর কমে না।
১২. মজুতদারি : মজুতদার, মুনাফাখোর, চোরাকারবারি ইত্যাদি অসাধু ব্যবসায়ীরা অনিয়ন্ত্রিত বাজারব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। এ সকল দ্রব্যের জন্য যখন চাহিদা অত্যন্ত বেড়ে যায়, তখন সংশ্লিষ্ট পণ্যের দাম বাড়িয়ে তারা ধীরে ধীরে তা বাজারে ছাড়তে থাকে এবং এভাবে
রাতারাতি প্রচুর টাকা উপার্জন করে নেয়।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব : দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ব্যক্তি ও জাতি উভয়ের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকর। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলে সাধারণ মানুষের আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সঙ্গতি থাকে না। মুষ্টিমেয় বিত্তবান লোকের কথা বাদ দিলে হাজার হাজার ভাগ্যবঞ্চিত মানুষ সীমাহীন দুর্দশায় পতিত হয়। দেশে নিম্নবিত্ত ও দরিদ্ররাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। এই সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করতে না পেরে ব্যয় সঙ্কোচন করতে বাধ্য হয়। সংসারে কম প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় তারা পরিহার করে।
অতি প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কিনতে গিয়েও পরিমাণ বা সংখ্যা কমিয়ে ফেলা ছাড়া তাদের কোনো উপায় থাকে না। এতে সংসারে দুঃখযন্ত্রণা বৃদ্ধি পায় ও নিরানন্দ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়ায় জীবনধারণের অপরিহার্য উপকরণ কিনতেই তাদের হিমশিম খেতে হয়। এর ফলে তাদের জীবনযাত্রার মান হ্রাস পায় ও সন্তানদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাবে সাধারণ মানুষের শিশুরা পুষ্টিহীনতার শিকার হয় ও নানা রোগ-ব্যাধি তাদের পরিবারে লেগেই থাকে। এতে সমাজের একটি বিরাট অংশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির অবনতি ঘটে, যা সমগ্র দেশকে প্রভাবিত করে থাকে। দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে তাল মেলাতে অক্ষম অনেকেই বেঁচে থাকার তাগিদে শেষ পর্যন্ত অনৈতিক পথ বেছে নেয়। সমাজে ঘুষ-দুর্নীতির মাত্রা বেড়ে যায় ও জাতীয় জীবনে অবক্ষয় দেখা দেয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির ফলে আজ বাংলাদেশের জনজীবন মারাত্মক সংকটের সম্মুখীন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অভিশাপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের নির্দিষ্ট বেতনের চাকরিজীবী সম্প্রদায়। বিশেষ করে যারা অবৈধ উপার্জনকে ঘৃণা করে এবং সততার সঙ্গে জীবিকা নির্বাহ করতে চায় তাদের পক্ষে বর্তমানে টিকে
থাকাই দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি যে সর্বোপরি জাতীয় অর্থনীতিতে একটি নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
প্রতিকারের উপায় : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে হলে কতিপয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকারকেই সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হতে হবে। নিম্নোক্ত উপায়ে জাতিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অভিশাপ থেকে মুক্ত করা যেতে পারে-
১. জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে চাহিদা ও যোগানের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করতে হবে।
২. কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে।
৩. জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় দ্রব্য নিজেদেরকে উৎপাদন করে বিদেশি পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে।
8. আমদানি কমিয়ে রপ্তানি বাড়িয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বৃদ্ধি করার চেষ্টা করতে হবে।
৫. দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল। কাজেই, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হলে
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে।
6. অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টির মাধ্যমে ইচ্ছামতো পণ্যের দাম বাড়িয়ে অস্বাভাবিক মুনাফা করার
সুযোগ না পায় সেদিকে সরকারের সতর্ক দৃষ্টি থাকতে হবে।
৭.নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপন করে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হবে। বন্ধ করে দেওয়া শিল্প কারখানা পুনরায়
খুলে দিয়ে বেকার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
৮. কালোবাজারি ও চোরাকারবারিরা যাতে কম দামে পণ্য কিনে বেশি দামের আশায় রাতের আঁধারে বিদেশে পণ্য পাচার করতে না পারে সরকারকে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
৯. চাঁদাবাজ ও মাস্তানরা কলকারখানা থেকে হুমকির মাধ্যমে জোর করে চাঁদা আদায় করে বলে শিল্প-মালিকেরা
উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়িয়ে তা পুষিয়ে নিতে চায়। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সরকারকে কঠোর হস্তে
এ সকল চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের দমন করতে হবে।
১০. সরকারের করব্যবস্থার জটিলতার কারণে অনেক সময় ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারীরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে থাকে। এরূপ ক্ষেত্রে, করব্যবস্থার জটিলতা নিরসন করতে সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
১১. কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কৃষকদেরকে সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে এবং তারা যেন যথাসময়ে
প্রয়োজনীয় বীজ, সার ও কীটনাশক পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
১২. ঘুষখোর, মজুতদার ও কালোবাজারিদেরকে সরকারিভাবে উৎখাত করতে হবে এবং সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
১৩. দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এবং সরকারি পদক্ষেপকে সহযোগিতা করতে হবে।
১৪. প্রতিটি দোকানে ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সরকারের অনুমোদিত মূল্য তালিকা সংরক্ষণ করতে হবে।
১৫. সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনার ওপর সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে।
১৬. দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি সচেতন নাগরিক সমাজকেও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।
উপসংহার : দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান জাতীয় সমস্যা। সরকারের একার পক্ষে এ সমস্যা নিরসন করা সম্ভবপর নয়। সরকার ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে। দ্রব্যমূল্য প্রতিরোধে সততা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেম নিয়ে ব্যবসায়ী সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের সরকার ও সকল স্তরের জনগণকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে চেষ্টা চালিয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অব্যাহত গতিকে থামিয়ে দেবার এখনই সময়। এ কাজে বিন্দুমাত্র অবহেলা ঘটলে, মনে রাখতে হবে, দেশ ও জাতির জন্য এক ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে। সুতরাং, কালবিলম্ব না করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিহত করা আমাদের সকলেরই দায়িত্ব ও কর্তব্য।