যে কোন ইতিহাস জানতে হলে বা ইতিহাস রচনা করতে হলে সুনির্দিষ্ট কিছু উৎসের উপর নির্ভর করতে হয়। উৎস ছাড়া ইতিহাস রচনা করা একেবারে অসম্ভব। আর এসব উৎস বা উপাদানসমূহ লিখিত ও অলিখিত উভয়ই হতে পারে। – লিখিত উপাদানের মধ্যে সাহিত্য, নথিপত্র, দলিল, দানপত্র, জীবনী ইত্যাদি। অলিখিত উপাদানের মধ্যে মূর্তি, সৌধ, মুদ্রা, লিপ্রিয়ালা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ।
ইতিহাসের উৎসসমূহ: ইতিহাসের উৎসসমূহকে দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যথা-
(i)লিখিত উপাদান।
(ii) অলিখিত উপাদান।
কিন্তু এগুলো ছাড়া ইতিহাস রচনার উৎসসমূহকে ছয় ভাগে ভাগ করা যায়। নিচে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. শিলালেখ বা তাম্রশাসন: শিলালেখ বা তাম্রশাসন থেকে যে ঐতিহাসিক তথ্য প্রমাণাদি পাওয়া যায়, তার মূল্য অনেক বেশি এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লোহা, সোনা, রূপা, পিতল, তামা, ব্রোঞ্জ, মাটির জিনিস, ইট, পাথর ইত্যাদিকে বলা হয় তাম্রশাসনের বাহন।
২. মুদ্রা : ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে মুদ্রার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন রাজাদের প্রবর্তিত মুদ্রা থেকে তাদের শাসনকাল সম্পর্কে অনেক ধারণা লাভ করা যায়।
৩. ভূগর্ভস্থ ও ভূ-পৃষ্ঠের স্থাপত্য নিদর্শন : ভূ-গর্ভে এবং ভূ-পৃষ্ঠের অনেক স্থাপত্য বস্তু রয়েছে যা দ্বারা ইতিহাস রচনা করা যায়। অনেক সময় খনন করতে গিয়ে দেখা যায় যে, মাটির নিচে এক স্তরের নিচে আর একটি স্তর রয়েছে এবং এগুলোর নির্মাণ কৌশল ভিন্ন ভিন্ন।
৪. ভাস্কর্য ও অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন : ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে ভাস্কর্য ও অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। খননকার্য পরিচালনার মাধ্যমে প্রাপ্ত ভাস্কর্যের অবদানও অনেক।
৫. বিভিন্ন গ্রন্থাবলি : লিখিত উপাদানের মধ্যে বিবিধ গ্রন্থাবলি অন্যতম ভূমিকা পালন করে। বেদ, পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত প্রভৃতি ইতিহাস রচনার অন্যতম উৎস।
৬. পর্যটকদের ভ্রমণ বৃত্তান্ত : ইতিহাসের উৎসগুলোর মধ্যে পর্যটকদের ভ্রমণ বৃত্তান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ লিখিত উপাদান। প্রাচীনকালে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলায় পর্যটকদের আগমন ঘটে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ইতিহাস রচনার জন্য আমাদের অবশ্যই প্রাচীন উৎসগুলোর উপর নির্ভর করতে হবে। নতুবা আমরা সুনির্দিষ্ট ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হব।
MaShFiA JaMaN11:23 am
Tnx it’s really too helpful
MaShFiA JaMaN11:25 am
Easy peasy question