পরিপাক গ্রন্থির কাজ (Role of Digestive Glands) যকৃত (Liver)
অবস্থানঃ যকৃত উদর গহ্বরের উপরভাগে ডানদিকে ডায়াফ্রামের ঠিক নিচে ডিওডেনাম ও ডান বৃক্কের পাকস্থলির ডান পাশে অবস্থিত।
যকৃত এর গঠন
গঠনঃ এটি মানবদেহের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি।
মানুষের যকৃতের ওজন কত
প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ মানুষে এর ওজন প্রায় ১.৫–২.০০ কেজি । ডান, বাম, কোয়াড্রেট ও কডেট নামে ৪টি অসম্পূর্ণ খন্ড নিয়ে যকৃত গঠিত। খন্ডগুলো স্থিতিস্থাপক তত্ত্বসমৃদ্ধ ক্যাপসুলে আবৃত । ডান খন্ডটি সবচেয়ে বড়। যকৃতের নিচের পিঠে পিত্তথলি (gall bladder) সংলগ্ন থাকে। প্রত্যেকটি খন্ড বহুভূজাকার কোষে গঠিত। কোষগুলো একেকটি ক্ষুদ্র অনুখন্ড নির্মাণ করে। প্রত্যেক অণুখন্ডের কেন্দ্রে থাকে কেন্দ্রীয়
শিরা। যকৃত কোষগুলো চাকার স্পোকের মতো বিন্যস্ত। এদের গা বেয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাইনুসয়েড (sinusoid) ও পিত্তনালিকা প্রসারিত হয়। পিত্তনালিকাগুলো পিত্তনালিতে গিয়ে শেষ হয়। যকৃত থেকে আসা ডান ও বাম নালি মিলে, একটি যকৃত নালি গঠন করে। এটি পিত্তনালির সাথে মিলিত হয়ে অভিন্ন পিত্তনাসি গঠন করে যা ভ্যাটার-এর অ্যাম্পুলা (ampulla of vater) নামে নালির মাধ্যমে ডিওডেনামে উন্মুক্ত হয়।
যকৃতের ম্যাক্রোফেজকে কী বলে ?
লিভারে, ম্যাক্রোফেজগুলিকে কুফার(Kupffer) কোষ বলা হয়।
যকৃতের কাজ
যকৃতের সঞ্চয়ী ও বিপাকীয় ভূমিকা (Storage and Metabolic Role of Liver)
মানবদেহের সবচেয়ে বড় গ্রন্থি হচ্ছে যকৃত যা দেহের ওজনের প্রায় ৩-৫%। এটি মূলত পরিবর্তনশীল বাহ্যিক অবস্থা সত্ত্বেও দেহের অভ্যন্তরীণ স্থিতি বা সাম্য রক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যকৃতে নানা ধরনের জৈব রাসায়নিক (bio- chemical) বিক্রিয়া সংঘটিত হয় যা দেহের বিপাক (metabolism) ক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ জন্য একে মানবদেহের জৈব রসায়নাগার (organic laboratory) বলা হয়। যকৃত প্রায় পাঁচ শতাধিক জৈবনিক কাজ সম্পন্ন করে থাকে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। নিচে যকৃতের সঞ্চয়ী ও বিপাকীয় ভূমিকা সম্বন্ধে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।
যকৃতের সঞ্চয়ী ভূমিকা (Storage functions of Liver)
নিচে যকৃতের সঞ্চয়ী ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
১।গ্লাইকোজেন সঞ্চয় (Storage of Glycogen): ক্ষুদ্রান্ত থেকে হেপাটিক পোর্টাল শিরা-র মাধ্যমে গ্লুকোজ যকৃতে প্রবেশ করে। রক্তের অতিরিক্ত গ্লুকোজ গ্লাইকোজেনেসিস (glycogenesis) প্রক্রিয়ায় গ্লাইকোজেন-এ রূপান্তরিত হয়ে যকৃতের সঞ্চয়ী কোষে জমা থাকে। ইনসুলিন (insulin) নামক হরমোন এ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। প্রয়োজনে এ গ্লাইকোজেন ভেঙ্গে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখে।
যকৃতে কতটুকু গ্লাইকোজেন সঞ্চিত থাকে ?
মানুষের মধ্যে বেশিরভাগ গ্লাইকোজেন কঙ্কালের পেশী (500 g) এবং লিভারে (∼100 g) সঞ্চিত থাকে।
২। রক্ত সঞ্চয় (Storage of Blood) : প্লীহা ও অস্ত্র থেকে বেরিয়ে রক্ত বাহিকাগুলো মিলিত হয়ে হেপাটিক পোর্টাল শিরা গঠন করে। যকৃতের ভেতর দিয়ে রক্ত যদিও অনবরত প্রবাহিত হয় তারপরও এর রক্তবাহিকাগুলোসহ এ শিরা বিপুল পরিমাণ রক্তের ভান্ডার (reservoir) হিসেবে কাজ করে। যকৃত প্রায় ১৫০০ ঘন সে.মি. পর্যন্ত রক্ত সঞ্চয় করে রাখতে পারে যা দেহের বিভিন্ন রক্তক্ষরণ-জনিত ঘটনায় মূল রক্তসংবহনের সাথে মিলিত হয়ে রক্তচাপের সমন্বয় ঘটায়।
যকৃত কতটুকু রক্ত সঞ্চয় করে ?
যে কোনো মুহূর্তে, একজন সুস্থ মানুষের লিভারে প্রায় এক পিন্ট রক্ত বা শরীরের মোট রক্ত সরবরাহের 13% থাকে।পরিমানে যকৃত প্রায় ১৫০০ ঘন সে.মি. পর্যন্ত রক্ত সঞ্চয় করে রাখতে পারে ।
একটি সুস্থ যকৃত প্রতিদিন কি পরিমাণ রক্ত পরিশোধন করে ?
একজন সুস্থ মানুষের লিভার প্রতি মিনিটে এক লিটারের বেশি রক্ত ফিল্টার করে যা প্রতি ঘন্টায় প্রায় 22 গ্যালন রক্ত এবং 24-ঘন্টা সময়ের মধ্যে 250 গ্যালনের বেশি রক্ত।
কোন ভিটামিন যকৃত সঞ্চিত হয়
৩। ভিটামিন সঞ্চয় (Storage of Vitamins) যকৃত স্নেহে (fat) দ্ৰৱনীয় ভিটামিনসমূহ (A, D, E, K),পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন (B ও C), নিকোটিনিক এসিড (B12) এবং ফলিক এসিড সঞ্চয় করে।B12 এবং ফলিক এসিড অস্থিমজ্জায় লোহিত কণিকা তৈরিতে প্রয়োজন হয়।
৪। খনিজদ্ৰব্য সঞ্চয় (Storage of Minerals) : সুস্থ দেহের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ, যেমন-কপার, জিংক, কোবাল্ট, মলিবডেনাম প্রভৃতিসহ আয়রন ও পটাশিয়াম যকৃতে সঞ্চিত থাকে।
৫। পিত্তরস সঞ্চয় (Storage of Bile) : যকৃত কর্তৃক উৎপন্ন পিত্তরস (bile) যকৃতের ডান খন্ডাংশের নিচে অবস্থিত পিত্তথলিতে (gall bladder) সঞ্চিত থাকে।
৬। লিপিড ও অ্যামিনো এসিড সঞ্চয়ঃ রক্তের অতিরিক্ত লিপিড গ্লাইকোলিপিড হিসেবে যকৃতে সঞ্চিত থাকে । যকৃত অ্যামিনো এলিডকেও মওজুত রাখে। দেহের প্রয়োজনে এগুলো ব্যবহারযোগ্য গ্লুকোজে পরিণত হয়।
যকৃতের বিপাকীয় ভূমিকা (Metabolic functions of Liver)
যকৃতে নিচে বর্ণিত বিপাকীয় কার্যাবলী সংঘটিত হয়।
১। শর্করা বিপাক (Carbohydrate Metabolism): যকৃতে শর্করার বিপাককে নিচে বর্ণিত উপায়ে ব্যাখ্যা করা হয়।
■ গ্লাইকোজেনেসিস (Glycogenesis) : অন্ত্র থেকে হেপাটিক পোর্টাল শিরার মাধ্যমে চিনি (যেমন-গুকোজ) যকৃতে প্রবেশ করে। এ শিরাটি বিভিন্ন মাত্রায় চিনি বহনকারী একমাত্র রক্তবাহিকা। শর্করা বিপাকে যকৃতই দেহে গ্লুকোজ লেভেল প্রতি ১০০ ঘন সেন্টিমিটারে ৯০ মিলিগ্রাম গ্লুকোজ হিসেবে নিয়ন্ত্রণ করে। যে ধরনের খাবারই গ্রহণ করা হোক না কেন রক্তে গ্লুকোজ লেভেল যেন না বাড়ে বা কমে যকৃত তা প্রতিরোধ করে। গ্যালাকটোজ, ফ্রুকটোজসহ সমস্ত হেক্সোজ চিনিকে যকৃত গ্লুকোজে পরিবর্তিত করে গ্লাইকোজেন নামক অদ্রবণীয় পলিস্যাকারাইড হিসেবে সঞ্চিত রাখে। গ্লুকোজ থেকে গ্লাইকোজেন রূপান্তর প্রক্রিয়াটি গ্লাইকোজেনেসিস নামে পরিচিত। প্রক্রিয়াটি ইনসুলিনের উপস্থিতিতে উদ্দীপ্ত হয় । ইনসুলিন (insulin) হচ্ছে রক্তে চিনির লেভেল বেড়ে গেলে তার প্রতি সাড়া হিসেবে অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যাপ (islets of Langerhans) থেকে উৎপন্ন হরমোন।
■ গ্লুকোনিওজেনেসিস (Gluconeogenesis) : গ্লুকোজের চাহিদার প্রেক্ষিতে যদি যকৃতে গ্লাইকোজেনের ঘাটতি পড়ে তখন ননকার্বোহাইড্রেট উৎস যেমন অ্যামিনো এসিড ও গ্লিসারল প্রভৃতি থেকে গ্লুকোজ সংশ্লেষিত হয়। এ প্রক্রিয়াকে গ্লুকোনিওজেনেসিস বলে।
২। প্রোটিন বিপাক (Protein Metabolism) : প্রোটিন বিপাকে যকৃত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভূমিকাগুলোকে নিচেবর্ণিত দুটি শিরোনামের অধীনে বিবেচনা করা যায়।
■ ডিঅ্যামিনেশন (Deamination) : খাদ্যের সঙ্গে গৃহীত অতিরিক্ত অ্যামিনো এসিড দেহ জমিয়ে রাখতে পারে না। যেগুলো প্রোটিন সংশ্লেষের জন্য বা গ্লুকোনিওজেনেসিসে (গ্লুকোজ উৎপাদন) জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন নেই সেগুলো যকৃতের মধ্যেই বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।
■ প্লাজমা প্রোটিন উৎপাদন ( Production of Plasma Protein) : প্লাজমার অন্যতম আবশ্যকীয় উপাদান হচ্ছে প্লাজমা প্রোটিন, যেমন- অ্যালবুমিন, গ্লোবিউলিন ইত্যাদি। অধিকাংশ প্লাজমা প্রোটিন যকৃতে অ্যামিনো এসিড থেকে সংশ্লেষিত হয়। এসব প্রোটিন রক্তের ভেতর দিয়ে ক্যালসিয়াম, পিত্ত, লবণ ও কিছু স্টেরয়েড হরমোন বহন করে (অ্যালবুমিন, প্লাজমা প্রোটিন)। গ্লোবিউলিনগুলো ইমিউনতন্ত্রের সুরক্ষা দেয়। রক্ত-জমাট বাঁধার ফ্যাক্টর প্রোথ্রম্বিন (prothrombin) ও ফাইব্রিনোজেন (librinogen) অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্লাজমা প্রোটিন হিসেবে পরিচিত।
৩। ফ্যাট বিপাক (Fat Metabolism) : ফ্যাটগুলোকে জমা রাখার বদলে যকৃত এগুলোর পরিশোধন ও পরিবহনে নিয়োজিত থাকে। যকৃত কোষ এক্ষেত্রে যে কাজ করে তা হচ্ছে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেটকে ফ্যাটে রূপান্তর; এবং রক্ত থেকে কোলেস্টেরল সরিয়ে নেওয়া, ভেঙ্গে ফেলা বা প্রয়োজনে সংশ্লেষ করা। গ্লুকোজের ঘাটতি হলে শ্বসনের উদ্দেশে যকৃত ফ্যাটকে ভেঙ্গে ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলে পরিণত করে। ফ্যাটি এসিড বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থে পরিণত হয়ে যকৃত থেকে নির্গত হয়। গ্লুকোনিওজেনেসিস প্রক্রিয়ায় গ্লিসারল গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়।
৪। লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন ও ভাঙ্গন (Production and Destruction of Red Blood Cells) : শিশুদেহে লোহিত কণিকা উৎপাদনে যকৃত নিয়োজিত থাকে। পরবর্তীতে অস্থিমজ্জার কোষগুলো এ দায়িত্ব পালনে রত হয়। এ প্রক্রিয়া একবার প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে যকৃত তখন বিপরীত ভূমিকা পালনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে অর্থাৎ যকৃত তখন লোহিত রক্তকণিকা ভাঙ্গনে সহযোগিতা করে।
৫। হিমোগ্লোবিনের ভাঙ্গন (Breakdown of Hacmoglobin) : লোহিত রক্তকণিকার আয়ু ১২০ দিন ৪ মাস। এরপর এগুলো যকৃত, প্লীহা ও অস্থিমজ্জায় ফ্যাগোসাইটিক ম্যাক্রোফেজ কোষের ক্রিয়ায় ভেঙ্গে যায় এবং কণিকার হিমোগ্লোবিন রক্তের প্লাজমায় মুক্ত হয়ে মিশে যায়। এগুলোকে তখন যকৃত, প্লীহা ও লসিকা গ্রন্থির ম্যাক্রোফেজ নামক বিশেষ শ্বেত-রক্তকণিকা গ্রহণ করে। যকৃতের ম্যাক্রোফেজকে কুফার কোষ (Kuppher cells) বলে। ম্যাক্রোফেজের
অভ্যন্তরে হিমোগ্লোবিন ভেঙ্গে হিম ও গ্লোবিন গঠন করে। গ্লোবিন হচ্ছে অণুর প্রোটির অংশ, এটি তার নিজস্ব অ্যামিনো এসিডে বিশ্লিষ্ট হয় । হিম থেকে আয়রন অংশ সরে গেলে অণুর বাকি অংশ বিলিভারডিন (biliverdin) নামে সবুজ রঞ্জক
উৎপন্ন করে। এ রঞ্জক হলদে বিলিরুবিন (bilirubin)-এ পরিবর্তিত হয়। আয়রন বর্জিত হয় না। এটি হিমোগ্লোবিন উৎপন্নে অস্থিমজ্জার কোষে পুনর্ব্যবহৃত হয়।
৬। কোলেস্টেরল উৎপাদন (Cholesterol Production) : কোলেস্টরল বা ফ্যাটসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করলে নানান প্রক্রিয়া শেষে যকৃতে কোলেস্টেরল উৎপন্ন হয়। হার্টঅ্যাটাক (coronory thrombosis) ও স্ট্রোক (cerebral thrombosis) সংক্রান্ত জটিলতায় কোলেস্টেরল বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৭। পিত্ত উৎপাদন (Bile Production) : যকৃত কোষ (হেপাটোসাইট) অনবরত পিত্তরস ক্ষরণ করে এবংপিত্তথলিতে জমা রাখে। যকৃত হেপাটোসাইট কোষস্টেরয়েড থেকে পিত্ত লবণ, যেমন-সোডিয়াম গ্লাইকোকোলেট (sodium glycocholate) সোডিয়াম টরোকোলেট (sodium taurocholate) সংশ্লেষ করে। পরিপাক অঙ্গ হিসেবে যকৃতের পিত্ত উৎপাদন ও ক্ষরণ গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
যকৃত দ্রুত ধ্বংস করে কোন হরমোন
৮। হরমোনের ভাঙ্গন (Breakdown of Hormone) : যকৃত প্রায় সব হরমোনই কম-বেশি ধ্বংস করে। তবে টেস্টোস্টেরণ ও অ্যালডোস্টেরণ যতদ্রুত ধ্বংস হয় অন্য হরমেনিগুলো (ইনসুলিন, গ্লুকাগোন, আন্ত্রিক হরমোন, স্ত্রী যৌন হরমোন, অ্যাড্রেনাল হরমোন, থাইরক্সিন প্রভৃতি) ততদ্রুত ধ্বংস হয় না। এভাবে যকৃত বিভিন্ন হরমোনের কর্মকান্ডে স্থায়ী অভ্যন্তরীণ পরিবেশ (হোমিওস্ট্যাসিস) সৃষ্টি করে।
যকৃত কোন হরমোন সংশ্লেষিত হয়
লিভার সরাসরি 25-হাইড্রোক্সিভিটামিন ডি, ইনসুলিনের মতো গ্রোথ ফ্যাক্টর 1 (IGF-1), এবং এনজিওটেনসিনোজেন সহ একাধিক হরমোন সংশ্লেষিত করে।
৯। টক্সিন বা বিষ অপসারণ (Detoxification): শরীরের ভেতর স্বাভাবিক কর্মকান্ডের ফলে উৎপন্ন যেসব পদার্থ মাত্রাতিরিক্ত জমা হলে দেহে বিষময়তার সৃষ্টি করে এমন সব পদার্থকে টক্সিন বা বিষ বলে। যকৃত কোষের অভ্যন্তরে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় এই বিষ প্রশমিত হয়ে যায়।
১০। তাপ উৎপাদন (Production of Heat) : যকৃতের অভ্যন্তরে নানা ধরনের বিক্রিয়া সংঘটিত হওয়ায় এখানে প্রচুর তাপ উৎপাদিত হয় । এ তাপ রক্তবাহিকার মাধ্যমে সমগ্র দেহে সঞ্চালিত হয়, ফলে দেহে