রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলে অভিহিত করেছেন কোন কোন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী?

রাষ্ট্রবিজ্ঞান

সামাজিক বিজ্ঞানের একটি উল্লেখযোগ্য শাখা হচ্ছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান। রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের পর্যায়ভুক্ত করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক এরিস্টটল। এছাড়া আরো বহু রাষ্ট্র চিন্তাবিদ একে বিজ্ঞান হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন অধ্যাপক গেটেল, লর্ড ব্রাইস, স্যার ফ্রেডারিক পোলক, রবসন, রুন্টসলি, হবস, মন্টেস্কু, ফ্রান্সিস গ্রাহাম উইলসন, সি. এল. ওয়েপার, হলজেনড়রফ প্রমুখ । রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলার পক্ষে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতামত: রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান হিসেবে অভিহিত করেছেন যেসব রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নিম্নে তাদের মতবাদ দেয়া হলো :
গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল “রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে কেবল বিজ্ঞান নয় বরং একে শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান (Master Science) হিসেবে অভিহিত করেছেন।”

অধ্যাপক গেটেল বলেছেন, “বিজ্ঞান বলতে যদি কোন বিষয় সম্পর্কে শৃঙ্খলিত পর্যবেক্ষণ, অভিজ্ঞতা, পঠন, বিশ্লেষণ পৃথকীকরণের দ্বারা লব্ধ জ্ঞানভাণ্ডারকে বুঝায়। তাহলে অবশ্যই রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত করা যায়।” অধ্যাপক লর্ড ব্রাইস, “রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে প্রগতিশীল বিজ্ঞান (Progressive Science) হিসেবে অভিহিত করার
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রবসন (Robson) বলেছেন, “যে কোন সুসংবদ্ধ অথবা শিক্ষাদানযোগ্য জ্ঞানকে যদি বিজ্ঞান বলা যায়,
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ফ্রান্সিস গ্রাহাম উইলসনের মতে, “রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলা চলে। কারণ এখানে রাজনৈতিক
বিষয়সমূহের বিশ্লেষণ ও শ্রেণিবদ্ধকরণ সম্ভব। এ বিশ্লেষিত ও শ্রেণিভিত্তিক জ্ঞান হতে সাধারণ সূত্রের প্রতিষ্ঠাও সম্ভব।”তাহলে সেই অর্থে রাষ্ট্রবিজ্ঞানও একটি বিজ্ঞান।”
উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রকৃত বিজ্ঞান না হলেও একে সামাজিকবিজ্ঞান বলা চলে। কারণ সামাজিক বিজ্ঞানের যত তথ্য ও তত্ত্ব রয়েছে রাষ্ট্রবিজ্ঞানেও তা রয়েছে।



About author

saikat mondal

Welcome to www.banglashala.com. Banglashala is a unique address for Bengali subjects. banglashala is an online learning platform for Bengalis. So keep learning with us




Leave a Reply

15 − nine =