মাজ মানুষের সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের অন্যতম স্থান। মানুষ সমাজেই জন্মগ্রহণ করে,সমাজেই লালিতপালিত হয় এবং সমাজেই মৃত্যুবরণ করে। সুতরাং মানুষের সংঘবদ্ধ জীবনের সূচনা ও ব্যাপ্তির অভিব্যক্তিই
সমাজ : সমাজ হচ্ছে এমন একটি জনসমষ্টি যারা সংঘবদ্ধভাবে বসবাস করে এবং একটি সাধারণ জীবন নিজেদের অস্তিত্বের প্রয়োজনেই সৃষ্টি হয়েছে।
প্রণালিতে অভ্যস্ত হয়ে পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে। সমাজ হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা মানুষ হলো সমাজ ।
প্রামাণ্য সংজ্ঞা : সমাজ সম্পর্কে বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও মনীষী বিভিন্ন ধরনের মতবাদ দিয়েছেন। নিম্নে সেগুলো উল্লেখ করা হলো :
প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ম্যাকাইভার ও পেজ (MacIver & Page) বলেছেন, “যেসব সামাজিক সম্পর্কের মধ্যে আমরা জীবন যাপন করি, তাদের সংগঠিত রূপই সমাজ।”
জিন্সবার্গ (Ginsberg) এর মতে, “মানুষের সাথে মানুষের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংগঠিত বা অসংগঠিত, সচেতন বা অসচেতন, সহযোগিতামূলক বা বৈষম্যমূলক সকল সম্পর্কই হলো সমাজ।”
অধ্যাপক গিডিংস (Giddings) এর মতে, “নিজেদের ঐক্য সম্পর্কে সচেতন এবং সমমনোভাবাপন্ন কিছু সংখ্যক
ব্যক্তি যখন কোন সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য মিলিত হয়, মনের ভাব আদান-প্রদান করে তখন তাকে সমাজ বলে।”
অধ্যাপক গিলক্রিস্ট (Gilchrist) এর মতে, “Society is compared of a number of individuals living
সমাজবিজ্ঞানী গিলবার্ট (Gilbert) এর মতে, “সমাজ হলো সামাজিক সম্পর্কের সেই জাল যা দ্বারা প্রত্যেক মানুষ
তাদের সঙ্গীদের সাথে সম্পর্কযুক্ত।”together and entering into relationship with one another.”
পরিশেষে বলা যায় যে, সমাজ হচ্ছে এমন এক জনসমষ্টি, যারা একটি সাধারণ ঐতিহ্য, প্রথা, রীতিনীতি, আচার-অনুষ্ঠান এবং জীবনপ্রণালিতে অভ্যস্ত হয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একই পরিবেশে বসবাস করে। সমাজ ছাড়া মানুষ জীবন যাপন করতে পারে না।