মোট তিনটি রচনা আছে পরপর এখানে থেকে আপনার পছন্দ মতন যেকোনো একটি বেছে নিন।
আমাদের বিদ্যালয়
সূচনা : আমাদের বিদ্যালয়ের নাম ঝনকা বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্থানীয় বিদ্যোৎসাহী জনগণের আপ্রাণ চেষ্টায় এ বিদ্যালয় ১৯৪২ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টি ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার ৯নং কাশিমপুর ইউনিয়নে ঝনকা বাজার নামক স্থানে অবস্থিত।
বিদ্যালয়ের অবকাঠামো : ঝনকা বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবকাঠামোগতভাবে খুবই উন্নত। এ বিদ্যালয়ের রয়েছে দুটি পাকা ভবন। মাঝখানে রয়েছে বিশাল খেলার মাঠ। প্রত্যেক ভবনের সামনে রয়েছে ফুলের বাগান।
শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা : আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় তিন শ ছাত্রছাত্রী অধ্যয়ন করে। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষক সংখ্যা সাত জন। তাঁরা সবাই উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। প্রতিটি ছাত্রছাত্রী বিদ্যালয়ের সুশৃঙ্খলার সাথে পড়াশোনা করে থাকে।
ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক : শিক্ষকগণ আমাদেরকে তাদের নিজেদের সন্তানের মতো ভালোবাসেন। আমরাও শিক্ষকদেরকে খুব মান্য করে চলি। প্রধান শিক্ষক সাহেব খুবই নীতিবান।
বিশেষ কৃতিত্ব : প্রতিবছর এ বিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পেয়ে থাকে। আমাদের বিদ্যালয়ে লেখাপড়া ছাড়াও আমাদের চরিত্র গঠন এবং মানবতাবোধ ও দেশাত্মবোধ জাগ্রত করার জন্য যথেষ্ট প্রচেষ্টা চালানো হয়। খেলাধুলায় আমাদের বিদ্যালয় উপজেলার মধ্যে প্রায় সবসময়ই শীর্ষস্থান অধিকার করে। আন্তঃথানা স্কুল ক্রীড়াপ্রতিযোগিতায় আমাদের পুনঃপুন বিজয় তারই প্রমাণ বহন করছে।
অনুষ্ঠানাদি : আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের প্রতিভা বিকাশের জন্য প্রতিবছর ছাত্রছাত্রীদের স্বরচিত লেখা নিয়ে স্কুল বার্ষিকী প্রকাশিত হয়। এছাড়া আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতিবছর বিতর্ক অনুষ্ঠান, বার্ষিক নাটক, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, বার্ষিক মিলাদ মাহফিল এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা প্রভৃতি অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
উপসংহার : আমাদের বিদ্যালয়টি একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমি বিদ্যালয়কে অত্যন্ত ভালোবাসি। আমি বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতি কামনা করি। এ বিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি।
আমাদের বিদ্যালয়
সংকেত : *সূচনা *অবস্থান *প্রতিষ্ঠা *বিদ্যালয়ের বর্ণনা *শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা *লেখাপড়া *ফলাফল *উপসংহার।
সূচনা : বিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান অর্জনের জায়গা। এখানে যারা জ্ঞান অর্জন করতে আসে তারা সবাই ছাত্র। জ্ঞান অর্জনের একমাত্র মাধ্যমই শিক্ষা। আর এ শিক্ষার প্রথম হাতেখড়ি হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আমি এমনি একটি বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করি যার নাম সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি। এটি গাজীপুর জেলার একটি আদর্শ ও সুখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
অবস্থান : আমাদের বিদ্যালয়টি টংগি সরকারি কলেজের উত্তরপাশে অবস্থিত। এর পূর্বপাশ দিয়ে একটি মহাসড়ক আছে। এ রাস্তা দিয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুরের মতো বড় বড় শহরে যাতায়াত করা যায়।
প্রতিষ্ঠা : আমাদের বিদ্যালয়টি ১৯৮০ সালে স্থাপিত হয়। বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক হাসান উদ্দিন সরকারের বাবার নামানুযায়ী বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয়েছে আলহাজ সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি।
বিদ্যালয়ের বর্ণনা : আমাদের বিদ্যালয়টি ৩য় তলা ভবন। নিচতলা ও উপর তলা মিলে মোট ৪০টি বড় বড় কক্ষ আছে। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে ছাত্রদের বসার জন্য বেঞ্চ এবং শিক্ষকদের বসার জন্য চেয়ার আছে। প্রত্যেক শ্রেণিকক্ষের এক কোণে একটা করে ব্লাকবোর্ড টানানো আছে। বিদ্যালয়ের গৃহের মধ্যস্থলে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ। অন্য কক্ষগুলোর মধ্যে একটিতে সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কক্ষ। একটি অফিস ও একটি পাঠাগার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা : আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-ছাত্রী ও ৪০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা আছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একজন শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক। অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাগণও উচ্চশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ।
লেখাপড়া : আমাদের বিদ্যালয়ে বছরে ৩টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে ও মাসে দু-একটি শ্রেণি পরীক্ষা নেওয়া হয়।
ফলাফল : আমাদের বিদ্যালয়ের ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক। কোনো ছাত্র-ছাত্রী অকৃতকার্য হয় না। বিদ্যালয়ের শিক্ষা পদ্ধতি খুবই আধুনিক ও উন্নতমানের।
উপসংহার : আমাদের বিদ্যালয়টি একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমি এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
আমাদের বিদ্যালয়
ভূমিকা : আমাদের বিদ্যালয়ের নাম চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এটি একটি পুরাতন, ঐতিহ্যবাহী, প্রসিদ্ধ উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় চট্টগ্রামের কেন্দ্রস্থলে কলেজ রোডে অবস্থিত। এর দু’পাশে রয়েছে দুটি বিখ্যাত কলেজ একটি চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ও অন্যটি হাজী মোহাম্মদ মোহসিন কলেজ।
বিদ্যালয়-গৃহের বর্ণনা : আমাদের বিদ্যালয় ভবনটি একটি চারতলা পাকা দালান। এতে পঞ্চম থেকে দশম পর্যন্ত ছয়টি শ্রেণি আছে। প্রত্যেক শ্রেণিতে দুটি করে শাখা আছে। দালানটিতে যোলটি শ্রেণিকক্ষ আছে এবং ছাত্রদের জন্য একটি বড় আকারের কমনরুম আছে। এখানে একটি কক্ষে প্রধান শিক্ষক, একটি কক্ষে সহকারী প্রধান শিক্ষক, একটি কক্ষে শিক্ষকবৃন্দ এবং একটি কক্ষে কেরানি ও হিসাবরক্ষক বসেন। একটি বড় কক্ষকে লাইব্রেরি করা হয়েছে। লাইব্রেরিতে প্রায় পাঁচ হাজার বই আছে। বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে একটি বড় খেলার মাঠ আছে। প্রধান শিক্ষকের কক্ষের সামনে একটি সুন্দর ফুলের বাগান আছে। শ্রেণিকক্ষগুলোতে ছাত্রদের বসার জন্য উন্নত ধরনের বেঞ্চ এবং বই-খাতা রাখার জন্য হাই বেঞ্চ আছে। প্রত্যেক শ্রেণিকক্ষে একটি ব্ল্যাকবোর্ড আছে; শিক্ষকের জন্য একটি চেয়ার ও একটি টেবিল আছে। লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদের জন্য পড়ার ব্যবস্থা আছে। বিজ্ঞান শাখার ছাত্রদের জন্য দুটি কক্ষে ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। ল্যাবরেটরিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র আছে। সভা-সমাবেশ করার লক্ষ্যে একটি বড় কক্ষকে অডিটরিয়াম করা হয়েছে। এককথায় একটি বহুমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপযোগী সকল ব্যবস্থাই আমাদের বিদ্যালয়ে আছে।
ছাত্রসংখ্যা ও শিক্ষক : এ বিদ্যালয়ে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা—এ তিন শাখায় মোট দেড় হাজার ছাত্র এবং বত্রিশজন শিক্ষক আছেন। শিক্ষকগণ প্রায় সকলেই উচ্চ শিক্ষিত ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। প্রধান শিক্ষক একজন এম.এ., বি.এড.। তিনি একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক ও দক্ষ প্রশাসক। ওপরের শ্রেণিসমূহে ইংরেজি পড়াতে সক্ষম দুজন ইংরেজিতে এম.এ. পাস শিক্ষক আছেন। অন্যান্য বিষয়েও দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকেরা পাঠদান করে থাকেন। আমাদের বিদ্যালয়ের এস.এস.সি. পরীক্ষার ফলাফল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রতি বৎসর প্রায় শতকরা আটানব্বই ভাগ ছাত্র কৃতিত্বের সঙ্গে এস.এস.সি. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় এবং উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পরীক্ষার্থী জি.পি.এ. ৫ লাভ করে থাকে। অনুষ্ঠানাদি : আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতি বৃহস্পতিবার ছুটির পর বিতর্কের আয়োজন করা হয়; ওপরের ক্লাসের ছাত্ররা এতে অংশগ্রহণ করে। তাছাড়া সারা বছর বিভিন্ন উপলক্ষে সভা, আলোচনা ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হয়। এসবের মধ্যে শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ঈদে মিলাদুন্নবী ও দুর্গাপূজা উদযাপন উল্লেখযোগ্য। বছরের শেষে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণীও অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। ১৪ ডিসেম্বর ও ১৬ ডিসেম্বর যথাক্রমে বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসও উদ্যাপন করা হয়। আমাদের বিদ্যালয়ে মাঝে মাঝে বিজ্ঞান মেলারও আয়োজন করা হয়।
উপসংহার : শিক্ষকবৃন্দের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে ছাত্রদের ব্যবহার অত্যন্ত মার্জিত, সুন্দর ও অমায়িক। ছাত্ররা শিক্ষকদেরকে অত্যন্ত ভক্তি ও শ্রদ্ধা করে। লেখাপড়ায় তারা অত্যন্ত মনোযোগী; এ কারণে তারা পরীক্ষায় ভালো ফল করতে সক্ষম। শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে তারা খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে। মাঝে মাঝে তারা বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজেও আত্মনিয়োগ করে থাকে। এ বিদ্যালয়ের যথেষ্ট সুনাম আছে। আমাদের বিদ্যালয়কে আমরা অত্যন্ত ভালোবাসি এবং এর ছাত্র হতে পেরে আমরা গৌরব বোধ করি।