
সময়ের মূল্য রচনা
সংকেত : *সূচনা *সময়ের মূল্য *সময়ের গুরুত্ব *সময়ের সদ্ব্যবহার *সময়ের অপব্যবহার *সময়নিষ্ঠ ব্যক্তির দৃষ্টান্ত *উপসংহার।
সূচনা : সময় ও স্রোত প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে প্রবাহিত হয়। এটি কারও জন্য অপেক্ষা করে না। সময় একবার চলে গেলে তা আর কোনোদিনই ফিরে আসে না।
সময়ের মূল্য : প্রতিটি কাজ নির্দিষ্ট সময়ে সম্পাদন করাই উত্তম। কোনো কাজ পরে করার জন্য ফেলে রাখা উচিত নয়। সময়ের কাজ সময়েই সম্পন্ন করা প্রয়োজন। আমরা যদি প্রত্যেকটি কাজ সময়ে করতে পারি তা হলে জীবনের প্রতিটি ধাপে স্বার্থকতা বয়ে আনবে।
সময়ের গুরুত্ব : সময় অতি মূল্যবান সম্পদ যা একবার চলে গেলে কোটি টাকার বিনিময়েও ফিরিয়ে আনা যায় না। মানুষের টাকা-পয়সা, গাড়ি-বাড়ি, স্বাস্থ্য নষ্ট হলে চেষ্টার দ্বারা তা ফিরে পাওয়া যায়। কিন্তু সময় ও স্রোত একবার চলে গেলে শত চেষ্টার দ্বারাও সেই সময়কে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। মানবজীবনকে সফল ও স্বার্থক করে তুলতে হলে সময়ের সদ্ব্যবহার করা একান্ত প্রয়োজন।
সময়ের সদ্ব্যবহার : কোনো কাজ না করে অলসভাবে সময় কাটানো হলে মানুষের মাথায় নানা ধরনের কু-বুদ্ধি ও খারাপ চিন্তা আসে। জীবনের মূল্যবান সময়টুকু খারাপ বা বাজে কাজে শেষ হয়ে যায়। এতে করে নিজের ও সমাজের অনেক ক্ষতি সাধন হয়। আর সময়ের সদ্ব্যবহার করলে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা আসে। তাই সময়ের যথাযথ সদ্ব্যবহার করা উচিত।
সময়ের অপব্যবহার : সময় অপচয়ের পরিণাম অভাব ও দুঃখ। এ দুঃখ সহজে ফুরায় না। সময় নষ্টকারি জীবনে কখনও উন্নতি করতে পারে না। যে কৃষক সময়মতো জমি চাষ করে বীজ বপন করে না, সে কখনও ভালো ফসল আশা করতে পারে না।
সময়নিষ্ঠ ব্যক্তির দৃষ্টান্ত : পৃথিবীতে যেসব মহৎপ্রাণ ব্যক্তি আত্মপ্রতিষ্ঠা পেয়েছেন ও মানব কল্যাণে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছেন তাদের সবাই ছিলেন সময়নিষ্ঠ। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই ছিল তাঁদের নিকট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর জীবনী পাঠ করলে দেখা যায় তিনি কখনও সময় অপচয় করেননি। সময়ের কাজ সময়ে করার জন্য তিনি সর্বদা উপদেশ দিতেন।
উপসংহার : জীবনে সফলতা লাভ করতে হলে সময় সচেতন থাকা প্রয়োজন। সময়কে বৃথা নষ্ট না করে সময়ের কাজ সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা উচিত।
আমাদের অন্যান্য রচনা
সময়ের মূল্য নিয়ে ২৫টি অসাধারণ উক্তি – লড়াকু