রাষ্ট্র নামক প্রতিষ্ঠানটি নিজে নিজেই গড়ে উঠে নি। এর পিছনে নানাবিধ উপাদান রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো সামাজিক চুক্তি মতবাদ। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
রুশোর সামাজিক চুক্তির সংজ্ঞা : আমরা প্রত্যেকে আমাদের দেহ ও সমস্ত ক্ষমতা একত্র করে আধার রুশোকে সাধারণ ইচ্ছার কথা বলেছেন তা হলো জনসাধারণের কল্যাণের ইচ্ছা যা সকলের কল্যাণের হচ্ছা তা প্রত্যেকের মঙ্গলের ইচ্ছা। সামাজিক চুক্তি মতবাদ অনুসারে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয় চুক্তির মাধ্যমে। এ মতবাদ অনুযায়ী রাজ্যে কোন শাসন বা নিয়ন্ত্রণ ছিল না। কালক্রমে এরকম অবস্থায় মানুষ ভয়ানক অসুবিধায় পতিত হয়। এসব অসুবিধা
অতীতে এমন একদিন ছিল যখন রাষ্ট্র বলে কোন প্রতিষ্ঠান ছিল না। মানুষ তখন প্রকৃতির রাজ্যে বাস করতো।
দূর করার জন্য তারা চুক্তি করে এবং সংঘবদ্ধ জীবন প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্র সংগঠন করে। সামাজিক চুক্তি মতবাদের মূলকথা প্রধানত দু’টি যথা :
ক. রাষ্ট্র জনগণের চুক্তির ফলশ্রুতি ও
খ. শাসকগণ তাদের কাজের জন্য জনগণের নিকট দায়ী।
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, বিভিন্ন রকম চুক্তির মধ্যে সামাজিক চুক্তি অন্যতম। মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক চুক্তি সম্পাদন করে।
